Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চল

খাগড়াছড়িতে চাঞ্চল্যকর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার -৩

স্টাফ রিপোর্টার , খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় চাঞ্চল্যকর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

খাগড়াছড়ি জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ফৌজদারী মামলার আসামী গ্রেফতার, দীর্ঘদিনের বিলম্বিত পরোয়ানা তামিল, অভ্যাস গত চোর-ডাকাত চক্রের বর্তমান অবস্থান নির্ধারণ ও তথ্য সংগ্রহসহ বিভিন্ন প্রকার উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে জেলার সকল পর্যায়ের অফিসার ও ফোর্সদের নিকট জোর তাগিদ প্রদান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রামগড় থানার একাধিক চৌকস টিম এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এজাহারনামীয় ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

 

প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, ভিকটিম (৫০) এর স্বামী ১০ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। ভিকটিম তার ১৫ বছরের ছোট মেয়েকে নিয়ে তার বসত বাড়িতে একা বসবাস করেন। গত ২২ আগস্ট রাত অনুমানিক ১০টার দিকে ভিকটিমের মেয়ে ঘরের উঠানে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। কয়েকজন লোক ভিকটিমের বাড়ীর দিকে আসতে দেখে তার মেয়ে ভয়ে ঘরে ঢুকে যায়। তখন ভিকটিম ও ভিকটিমের মেয়ে একসাথে ঘর থেকে বের হলে আসামী মোঃ ইউসুফ, আসামী মোঃ রানা,মোঃ ফয়সাল (২৫) তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক তাদেরকে টেনে হেঁচড়ে পার্শ্ববর্তী ধর্ষক মোঃ ইউসুফের কলাবাগানে নিয়ে যায়। কলাবাগানে যাওয়ার পর ভিকটিমের মেয়ে আসামীদের নিকট হতে ছুটে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মোঃ রানা (২৪) ও মোঃ ফয়সাল দুইপাশ হতে ভিকটিমের দুই হাত ধরে রাখে এবং মোঃ ইউসুফ অপরাপর আসামীদের সহযোগীতায় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের মেয়ে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ঘটনার বিস্তারিত শুনার পর কলাবাগানের দিকে এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা লোকজন আসা৷ সংকেত পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অতঃপর স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিমের অভিযোগের ভিক্তিতে গত ২৩ আগস্ট রামগড় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়।

মামলা রুজুর পরবর্তীতে ২৭ শে আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হেঁয়াকো বাজার থেকে আসামীদের আটককরা হয়।

রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওযার্ডের নাকাপা পাড়ার মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে ধর্ষক মো. ইউসুফ (২৭), একই এলাকার মো. মীর হোসেনের ছেলে মো. রানা (২৪) এবং মো. দুলাল মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়সাল (২৫)-কে নাকাপা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। দ্রুত বিজ্ঞ আদালতে বিধি মোতাবেক যথা সময়ে সোপর্দ করা হবে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Related Articles

Back to top button