Breakingসারাদেশ

আরসার প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী নোমান গ্রেপ্তার

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, উখিয়া , কক্সবাজার :
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের মংডুতে অবস্থিত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদর দপ্তরে হামলার অন্যতম পরিকল্পনা ও হামলাকারী মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীকে আটক করেছে র‍্যাব-১৫।

রোববার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব।

 

০২ অক্টোবর ১২০২৩ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন।

 

র‍্যাবের দাবি, তিনি রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর একান্ত সহকারী এবং আরসার অর্থ সংগ্রহের প্রধান সমন্বয়ক। মিয়ানমারের বিজিপি সদর দপ্তরে যে ক’জন পরিকল্পনা এবং হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলো নোমান তাদের একজন। এছাড়াও নোমান চৌধুরী ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর তুমব্রু সীমান্তে অভিযান চালানোর সময় আরসার হাতে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনার সঙ্গেও সরাসরি জড়িত ছিলেন।

 

 

র‍্যাব-১৫ -এর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাজিদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটকের প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে র‍্যাবকে। নোমানের মাধ্যমে আরসার কাছে নিয়মিত বিদেশি অর্থ সহায়তা আসতো। তিনি বিভিন্ন দেশে যেসব রোহিঙ্গা বসবাস করে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে টাকাগুলো সংগ্রহ করতো। এরপর এসব টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে স্ব-স্ব ইউনিটকে সরবরাহ করতে।

 

তিনি আরো জানান, জানায়, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর পরিকল্পনা ছিলো আরসাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে বড় ধরণের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা। যার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন নোমান চৌধুরী। নোমানই আরসা সদস্যদের জন্য ইউনিফর্মের কাপড়, ল্যান্ডমাইন, ওয়াকিটকি, ঔষধ সামগ্রী ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করতেন।

 

র‍্যাবের পরিকল্পনায় আতাউল্লাহর পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে গেছে দাবি করে র‍্যাব জানায়, আরসার অপতৎপরতা দমনে র‍্যাব সময় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছরের ২ অক্টোবর পর্যন্ত বোমা তৈরির কারিগর, গানম্যান, অর্থ সম্পাদক সহ আরসার ৬০ জন বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা ও সদস্য আটক হয়েছে ।

 

 

র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক সাজিদ হোসেন বলেন, নোমান চৌধুরী বাড়ি বাংলাদেশ মিয়ানমারের তুমব্রুর শূন্যরেখার পাশে। নোমানসহ আতাউল্লাহর ঘনিষ্ঠ যে ক‘জন আটক হয়েছে তারা সবাই বলেছে আতাউল্লাহর সম্মোহন করার ক্ষমতা আছে। যে কাউকে তার প্রতি আকৃষ্ট করতে বেশি সময় লাগে না। নোমান অল্প সময়ে এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় যে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় একান্ত সহকারীর। বাংলাদেশের প্রায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিলো নোমানের। আরসার কেনাকাটা থেকে শুরু করে প্রায় সব পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরাসরি নেতৃত্ব দিতো ।

Related Articles

Back to top button