![](https://chengidarpon.com/wp-content/uploads/2023/10/Srinogor.jpg)
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক ,শ্রীনগর , মুন্সীগঞ্জ :
শ্রীনগরের কৃতি সন্তান, খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার ও রাজনীতিবিদ শফি বিক্রমপুরী আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
১৮ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শফি বিক্রমপুরী ১৯৪৩ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার মত্তগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সাল থেকে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে দক্ষিণাঞ্চলের লোকজ প্রেম কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘গুনাই বিবি’ সিনেমাটি যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে তিনি প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও একাধিক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালক শফি বিক্রম পুরীর মৃত্যুতে তার নিজ এলাকা শ্রীনগরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। শফি বিক্রমপুরীর মরদেহ থাইল্যান্ড থেকে দেশে আনার পর তার প্রতিষ্ঠিত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন আল মদিনা জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
শফি বিক্রমপুরী বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গণের অত্যন্ত সফল এবং সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ছিলেন। তার প্রযোজনা ও পরিচালনায় অনেক আলোচিত ও দর্শক নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছবি অরুণোদয়ের অগ্নিস্বাক্ষী, ফোক ফ্যান্টাসি যাদুর ছবি ডাকু মনসুর, বাহাদুর ও রাজদুলারী, এবং সমাজ নির্ভর কাহিনীর ছবি সবুজ সাথী, সকাল সন্ধ্যা, মাটির কোলে, শশী পুন্নু, জজ সাহেব, দেন মোহর ও অবুঝ মনের ভালোবাসা ইত্যাদি।
শফি বিক্রমপুরী একজন সমাজ সেবক হিসাবে আল মদিনা জামে মসজিদ ছাড়াও তার নিজ নিজ গ্রাম মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সেলামতি এলাকায় বেগম ফাতেমা আরশেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও আরধীপাড়া গ্রামে নাসিমা শফি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেত্রকোনায় পাঁচ কাহনিয়া ফাতেমা আমীর আলী দারুল উলুম মাদ্রাসা এবং দশাল আশরাফুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।