শারদীয় দূর্গোৎসবে পূজামন্ডপের সাজ সজ্জার কাজ সম্পন্ন
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক ,থানচি, বান্দরবান :
বান্দরবানে থানচি উপজেলায় সারা দেশের ন্যায় শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে সাজ সজ্জার কাজ সম্পন্ন । উপজেলা দুইটি শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দির থাকলে ও একটিতে প্রতিবছর শারদীয় দূর্গোৎসবে পূজামন্ডপ সম্পন্ন করেছে সাজ সজ্জার কাজ। অপরটিতে সর্বশেষ পুজা হয়েছিল ২০২০ সালে শেষ দিকে মহামারি কোভিড – ১৯ এর সময়। বলিপাড়া বাজারে হিন্দু পাড়া শ্রী শ্রী হরি মন্দিরে প্রতিমার গায়ে উঠেছে রং তুলির ছোয়া। মন্দির ক্যাম্পাসে ডেকরেটরের লোকজন পুরা দমে চালাচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের আলোক সজ্জার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
থানচি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে এবছর ১ টি মাত্র মন্ডপে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। থানচিতে ১টি মাত্র মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা বলীপাড়া শ্রী শ্রী রক্ষা হরি মন্দির কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি আনন্দ দাশ বলেন , প্রতিবছর ন্যায় এবারেও উৎসবটি পালন করতে যাচ্ছি। থানচি উপজেলা সবচেয়ে বড় পূজা মন্ডপ তৈরী করা হয় বলীপাড়া শ্রী শ্রী রক্ষা হরি মন্দির প্রাঙ্গনের । সকল ধর্মে অনুসারী জনমানুষের জমায়েত হয়ে উৎসবটি আনন্দ ভাগাভাগি করবো সবার সাথে।
শ্রী শ্রী রক্ষা হরি মন্দিরে ব্রাহ্ম(পুরোহিত) মানিক ভট্টচার্য্য বলেন, এবারে মা দুর্গা আসবে ঘোড়া চড়ে এবং গমনও করবে গোড়া চড়ে। মহাদেব শিব এর তাপস্যার স্থান কৈলাস পর্বত এর অনুসরনে পূজামন্ডপকে সাজানো হচ্ছে। পুজা উদযাপন কমিটি সভাপতি সজল কর্মকার জানান, উপজেলা সকল সম্প্রদায় মানুষ,প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় প্রতিবছরে মত উৎসবটি পালন করতে যাচ্ছি। মহাদেব শিব এর তাপস্যার স্থান কৈলাস পর্বত এর অনুসরনে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ের পূজামন্ডপকে সাজানো হচ্ছে।
পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এবছর বান্দরবান জেলায় ৩২টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব, এর মধ্যে থানচি উপজেলায় ১টি মাত্র বলীপাড়া শ্রী শ্রী রক্ষা হরি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন মন্দিরে দূর্গা প্রতিমাগুলোকে বিভিন্ন রঙে রাঙাছে শিল্পীরা। প্রতিটি পূজা মন্ডপেই এখন শেষ সময়ের ব্যস্ততা; চলছে সাজানো-গোছানোর কাজ। প্রতিবারের মত ব্যাপক আয়োজনে এবার দুর্গামায়ের পূজা উদযাপন করা হবে।
এই ব্যাপারে থানচি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) ইয়াসির আরফাত বলেন, একটি মাত্র পূজামন্ডপে পর্যাপ্ত তিন স্থরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন সুষ্টভাবে সম্পন্ন করা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার পুলিশের সদস্যদের দায়িত্বে থাকবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: সূজন মিঞা জানান,সরকারী ভাবে দুইটি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে এক হাজার কেজি ডিআর এর চাউল বলিপাড়া মন্ডপের সভাপতি সজল কর্মকার ও থানচি শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দিরে জন্য সূজন ভট্টচার্য্যকে ডিও লেটার প্রদান করা হয়েছে।
বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা জানান, পূজাপার্বনে কখনও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নেই। প্রতি বছর প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপিত হয়ে থাকে। অনুরুপ ভাবে এবছরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা: আবুল মনসুর জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মাবলম্বীর শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। থানা পুলিশ সার্বক্ষনিক দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এবছর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ উপজেলায় শারদীয় দূর্গোৎসবে উদযাপিত হবে বলেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।