Breakingকৃষিখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

রামগড়ে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, রামগড় ,খাগড়াছড়ি :
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এর প্রভাবে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় ঝোড়ো আবহাওয়া বিরাজ করছে। কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।

 

১৭ নভেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয় তবে সন্ধা হতেই বাতাশের তিব্রতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। জেলার নির্মানাঞ্চল সহ নদ-নদী গুলোতে পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চল ও পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারী মানুষ।

 

এ দিকে শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে মানুষজনকে রাস্তায় খুব দেখা গেছে। সব চেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে হাট-বাজারে দোকান পাট অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। রাস্তা-ঘাটে কোনো মানুষজন নেই।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষকের চাষকৃত আমন ধানের। প্রবল ঝড়ো বাতাসে ধানসহ এবং সদ্য ধানের শিষ বের হওয়া আমন ধানের গাছ সব পানিতে শুয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন চাষি ও কৃষকরা। এ ছাড়াও রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের। এভাবে অবিরাম বৃষ্টি ও বাতাস হলে গাছের গোড়ায় পানি জমে শাক-সবজিতে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছেন কৃষকরা।

 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে কৃষকের ধান ও সবজীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে। বিশেষ করে মাঠে কাটা ৩০ শতাংশ ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। চলতি বছর উপজেলায় ২৩শত ৬৫ হেক্টর ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্র রয়েছে যা চলমান ঘূর্ণিঝড়ে শংকা তৈরী হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

 

উপজেলা প্রকল্প পরিচালক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, রামগড় উপজেলাতে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র ক্ষতি রোধে ১১টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাছাড়া যে কোন সমস্যায় তাৎক্ষনিক সহায়তা দিতে ফায়ারসার্ভিস , রেডক্রিসেন্ট টিমসহ সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button