বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক রামগড়ে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, রামগড় , খাগড়াছড়ি :
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত বারোমাসি কাঁঠালের জাত কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের জাতীয় এই ফলটি বছর জুড়ে সহজ লভ্য হবে বলে জানাচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও আধুনিক প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে কাঁঠালের বাণিজ্যিক পরিধিকে আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) বারোমাসি কাঠাঁলের জাত উদ্ভাবন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ‘কাঁঠাল উৎপাদনে আধুনিক কলা কৌশল’ এর উপর কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষি বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
৯ জুলাই ২০২৩ , রবিবার সকালে রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার রুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ফল বিভাগ উদ্যানতত্ত্ব বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের আয়োজনে ৩০ জন ফল চাষী সহ ৫০ জন এতে অংশগ্রহণ করেন।
রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম ফয়সাল কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উদ্ভাবন ত্বত্ত গবেষণা কেন্দ্র গাজীপুর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম, রামগড় উপজেলা সম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ ।
প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও ফল বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জিল্লুর রহমান প্রশিক্ষানার্থীদের উদ্দেশ্যে কাঁঠাল চাষের আধুনিক কলা কৌশলের মুল বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি কাঁঠালের গ্রাফটিং পদ্ধতি ও অন্যান্য উৎপাদন প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এবং মাঠে কাঁঠালের বিদ্যমান সমস্যা ও তার সমাধানের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে সারা বছর অধিক পরিমাণে মান সম্পন্ন কাঁঠাল পাওয়া যাবে এবং চাহিদা মোতাবেক প্রক্রিয়াজাত করণের জন্য একই সাথে অধিক পরিমাণ কাঁঠাল সহজ লভ্য হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে কাঁঠালের উৎপাদন যেমন বাড়বে, পাশাপাশি দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পুরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
প্রসঙ্গত, বারোমাসী বারি কাঠাল-২ উদ্ভাবন ২০১০ সালে এবং বারিকাঠাল-৩ উদ্ভাবন ২০১৪ সালে প্রথম রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা থেকে কেন্দ্রে উদ্ভাবন করা হয়।