ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বান্দরবানে থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, থানচি,বান্দরবান :
ভারতীয় উগ্রবাদী সংগঠন ইসকন জাতীয় উগ্রবাদী দলের সদস্যরা যৌথবাহিনীর ওপর হামলা, মসজিদ ভাংচুর, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও ইসকন সন্ত্রাসীদের হামলায় চট্টগ্রামে এড. সাইফুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবীতে থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গনজামায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ নভেম্বর ২০২৪,শুক্রবার বাদ জুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল আকারে দুই শতাধিক মুসল্লীরা থানচি রিড সেন্টার ও শপিং মলের একত্রিত হয়ে বাস স্টেশন, মুক্ত মঞ্চ,ও উপজেলা জন গুরুত্বপুর্ন স্থানের বিক্ষোভ মিছিল করে। উপজেলা আলেম-ওলামা, মুসুল্লী ও ছাত্র জনতার ব্যানারে আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল শেষে রিডি সেন্টার শপিং মলের প্রাঙ্গনের গনজামায়েত অনুষ্ঠিত হয় ।
এ সময় বক্তারা চট্টগ্রামের ঘটনায় জড়িত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের গ্রেপ্তার ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা মৃত সংগঠনকে (ইসকন) জঙ্গি সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান এবং আইনজীবী এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
মুসলিম যুব ও ছাত্র পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ হারুনর রশিদ টিপু, সভাপতিত্ব করেন, এ সময় থানচি জামের মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আনিছ উল্লাহ মোবারক, ইমাম মাওলানা নাছির উদ্দিন, টিএনটি পাড়া জামের মসজিদ খতিব মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের, একই পাড়া মাদ্রাসা শিক্ষক আবু রায়হান আলিফ,বিএনপি নেতা আবু সামাদ, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আসলাম, ব্যবসায়ী মোঃ ওমর ফারুক, ব্যবসায়ী মোঃ জামাল উদ্দিন, মোঃ সাহ নেওয়াজ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাদের দাবী- বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কিছুদিন যাবৎ চক্রান্ত করে যাচ্ছে উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন। তারই প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা , ইসকন নিষিদ্ধ করো, ‘আমার সোনার বাংলায় ইসকনের ঠাঁই নাই’, ‘ইসকনের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মরলো কেনো প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দিতে থাকে। এ বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান জোরদার ছিল।