Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলরাজনীতিসারাদেশ

বিজিবি-প্রশাসন ও ক্ষমতাসীনরা মাঠে থাকলেও নেই বিএনপি-জামায়াত

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক , মিরসরাই , চট্টগ্রাম  :
মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে তিন দিন ব্যাপী অবরোধের প্রথম দিন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেখা নেই বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের।

 

৩১ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার ভোর থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুব লীগের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া অবরোধের আগের রাত থেকেই মহাসড়ক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে কঠোর অবস্থানে ছিলো বিজিবি-পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।

 

এ দিকে দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূর পাল্লার বাস তেমন দেখা না মিললেও যাত্রীবাহী আঞ্চলিক যান বাহন ও পণ্য বোঝাই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। এখানে কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সোমবার দিবাগত রাত থেকে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিনের নেতৃত্বে দুই প্লাটুন বিজিবি মহা সড়ক সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে টহল সহ কঠোর অবস্থানে ছিলো।

 

এছাড়া উপজেলার ওয়াহেদপুরে যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কামাল মিটুর নেতৃত্বে উপজেলা দক্ষিনাঞ্চলে অবস্থান নেয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মিরসরাই পৌর মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর উদ্দিনের নেতৃত্বে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। বারইয়ারহাট পৌর এলাকায় মেয়র রেজাউল করিম খোকনের নেতৃত্বে অবস্থান নিয়েছে নেতা-কর্মীরা। জোরার গঞ্জ বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাষ্টারের নেতৃত্বে অবস্থান নেয় দলীয় নেতা-কর্মীরা। লাঠি হাতে নিয়ে মহাসড়কে শোডাউন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

 

অবরোধে মাঠে না থাকার বিষয়ে জানতে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা মাঠে নেই একথা ঠিক নয়। হয়তো ওপেন হতে পারছিনা। আমরা নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে অবস্থানে রয়েছি।

মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা কর্মকান্ড প্রতিহত করতে ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানে রয়েছি। তারা আবারো আগুন সন্ত্রাস করতে চায়, মানুষ পোড়াতে চায়। কিন্তু আর তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দেয়া হবে না।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন জানান, অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে কেউ যাতে কোন ধরণের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত করতে না পারে তার জন্য এখানে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সোমবার দিবাগত রাত থেকে বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একযোগে মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে টহল ও কঠোর অবস্থানে ছিলো। মঙ্গলবার দিনভর এখানে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হয়নি।

Related Articles

Back to top button