আখাউড়া স্থলবন্দরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, আখাউড়া ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিশন (এসকেপ)।
২৫ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার সকালে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট দিয়ে বন্দরে আসে। এরপর বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রতিনিধি দলটি। বৈঠকে বন্দরের অবকাঠামোগত কিছু দুর্বলতার কথাও উঠে এসেছে। তবে সার্বিক ভাবে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশন এসকেপের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান মিকাকো তানাড়ার নেতৃত্বে পরিদর্শনে আসা প্রতিনিধি দলের চোখেও বন্দরের দুর্বলতা অবকাঠামোর চিত্র ধরা পড়ে। বন্দরের সম্মেলন কক্ষে ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে উঠে আসে বন্দরের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা। বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বৈঠকে অংশ নেন বন্দরের আমদানী -রফতানিকারক ব্যবসায়ি ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ন পরিচালক আরিফুর রহমান।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে জাতিসংঘের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের প্রধান আজহার জে ডিউক্রেষ্ট, ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিস (বিআইআইএস) গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির, আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি কারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহাম্মদ খলিফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানী—রপ্তানীকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সকল পণ্য আমদানীর সুযোগ চেয়েছি। তাছাড়া এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয় বর্তমানে যে ৭টি পণ্য নিয়ে কাজ করছে সে পণ্যগুলো আমদানীর সুযোগ দিলে বন্দর আবারও চাঙ্গা হবে। এছাড়াও আমরা বন্দরে ওয়ার হাউজ, ২টি স্কেল মেশিনসহ যাত্রী টার্মিনাল নির্মানের দাবী করেছি।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, আজকে একটি মাল্টি অর্গানাইজেশনাল সফল মিটিং হয়েছে। বাংলাদেশ কিভাবে আরও লাভবান হতে পারে। এই স্থলবন্দরে কি কি সমস্যা আছে, কি কি বিষয় ওভারকাম করা গেলে এই অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে। এই বিষয়গুলো সহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।