Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

ঘূর্ণিঝড় “মোখা ” নিয়ে প্রচার প্রচারণা কম চকরিয়ায়; আশ্রয়ণ কেন্দ্র গুলোতে উঠেনি স্থানীয় এলাকাবাসী

চকরিয়া ,কক্সবাজার প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় “মোখা ” নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১০নং মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা দিলেও প্রচার প্রচারণা তেমন না থাকায় এখনো আশ্রয়ণ কেন্দ্র গুলোতে উঠেনি স্থানীয় এলাকাবাসী। তাদের মধ্যে নেই কোন আতঙ্ক বা ভয়। চলছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। ৯১ এর ২৯ এপ্রিলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সচেতনতার অভাবে ব্যাপক মানুষের মৃত্যু হলেও ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা নেই কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকার মানুষের মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে চকরিয়া পৌরশহরে মাইকিং করলেও ওইসব ইউনিয়ন গুলোতে তেমন প্রচারনা নেই।

 

শনিবার বিকাল দুইটার দিকে চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপের দুটো আশ্রয়ণ কেন্দ্র সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, চরণদ্বীপ ভূমিহীন সমবায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কাম আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানীয় কিছু এলাকাবাসী ধানভর্তি শতাধিক বস্তা নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। বৃষ্টিতে ভিজার আশঙ্কায় ধানগুলো কেন্দ্রে রাখছেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে তেমন আলোচনা নেই তাদের মধ্যে। যখনই ঘূর্ণিঝড় মোকা আঘাত হানবে তখনই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে উঠবেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

 

শুক্রবার রাতে ২০-২৫ জন নারী পুরুষ আশ্রয়ণ কেন্দ্রে উঠলেও পরদিন সকালে বাড়িতে চলে গেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে তাদের ভয় বা কোন শঙ্কা নেই। ওই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে দেড় শতাধিক মানুষ অবস্থান করতে পারবে। যখন আসবেন তখনই খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, প্রচার প্রচারণা থাকলেও মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাবে আসছে না আশ্রয়ণ কেন্দ্র গুলোতে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সব ধরণের সুযোগ সবিধা রাখা হয়েছে। গর্ভবতী নারীদের জন্য আলাদা কক্ষ রয়েছে। পাশের পুরাতন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ধান ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী রাখা হবে। নতুন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে দেড় শতাধিক মানুষ থাকতে পারবে। ইতিমধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

একই ইউনিয়নের পাশের ওয়ার্ডে অপর আশ্রয়ণ কেন্দ্র চরণদ্বীপ ডূলখালী সরকারি বিদ্যালয় ও বহুমুখী দূর্যোগ আশ্রয়ণ কেন্দ্রে দেড় হাজার নারীপুরুষ থাকার ধারণা ক্ষমতা রয়েছে। শুক্রবার রাতে অর্ধশতাধিক নারীপুরুষ রাত যাপন করেন ওই কেন্দ্রে। নিচতলায় শতাধিক গরু ছাগল রাখা হলেও পরদিন সকালে বাড়ি নিয়ে যান।

তাদের বক্তব্য, ঘূর্ণিঝড় মোখার কোন ধরণের আঘাত না করায় আমরা বাড়ি চলে গেছি। যদি বাতাসের তিব্রতা বেড়ে গেলে পূনরায় কেন্দ্রে চলে আসবো বলে জানান। অনেকের অভিযোগ, স্থানীয় একব্যক্তিকে ওই কেন্দ্রের চাবি রাখছিলেন। কিন্তু সে যথাসময়ে খুলে না দেওয়ায় এলাবাসীরা সেখানে যেতে পারছে না। তাছাড়া খাবার ও টয়লেট সমস্যা থাকায় তারা বাড়ি চলে গেছেন।

 

এদিকে প্রচার প্রচারণা এগিয়ে রয়েছেন চকরিয়া পৌরসভা। পৌরসভার পক্ষ থেকে ৯টি ওয়ার্ডে মাইকিং করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকার ক্ষতি এড়াতে সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার ক্ষতি এড়াতে সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আশ্রয়ণ কেন্দ্র গুলো খোলা রাখা হয়েছে। সার্বক্ষনিক মনিটরিংয়ে জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি শুখনো খাবার, বিস্কুট ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রাখা হয়েছে। মোখা আঘাত হানলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে থাকা হবে বলে জানান।

Related Articles

Back to top button