মারাত্বক ঝুঁকিতে কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধের ৩ পয়েন্ট
ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় মোখা
কুতুবদিয়া ,কক্সবাজার :
দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধের ৩ পয়েন্ট এখনো মারাত্বক ঝুঁকিতে। ঘুর্ণিঝড় মোখা ধেয়ে আসার খবরে আতংকিত দ্বীপের মানুষ। ৪০ কিলোমিটারবেড়িবাঁধের কাজ প্রায় পুরোটা শেষ পর্যায়ে। ঠিকাদারের অবহেলা আর দূর্বল মনিটরিং এর ফলে আলী আকবর ডেইল কাহার পাড়া থেকে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে আছে র্দীঘদিন ধরে। অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই ঢুকে পড়ে লোনা পানি।
সংশ্লিস্ট এলাকার ফসলি জমি আর কাচা-ঘরবাড়ি দেবে যায় নিমিষেই। এর আগে একই স্থানে জরুরী নয় ছয় কাজ করেছিল একটি ঠিক্দাারি প্রতিষ্ঠান। আলী আকবর ডেইল ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, কাহার পাড়া এলাকার বাধে কখনোই জিওব্যাগ দেয়া হয়নি। বায়ু বিদ্যুৎ এলাকায় ব্যাগ দেয়া হলেও জোয়ারের ধাক্কায় ফের চলে গেছে সাগরে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা মারাত্বক ঝুঁকিতে আছে বলে জানান তিনি। উত্তর বড়ঘোপ ও উত্তর কৈয়ারবিল অংশে দুই পয়েন্টের অবস্থা নাজুক।
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি হলেই লোকালয়ে প্রবেশ করবে সাগরের পানি। যে কারণে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার কয়েক শ‘ পরিবার আতংকিত হয়ে পড়েছে। ইউপি সদস্য সদস্য নেজাম উদ্দিন জানান, উত্তর বিন্দা পাড়ায় কিছু বেড়িবাঁধ মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ।
কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজমগীর মাতবর জানান, মলমচর বৃটিশ স্লুইসগেইট এলাকায় ৫০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভাঙা। অতিরিক্ত পানি হলেই প্রবেশ করবে পুরো ইউনিয়নে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী এল্টন চাকমা বলেন, কাহার পাড়া বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় দু‘কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে সপ্তাহ আগে। হঠাৎ ঘুর্ণিঝড়ের আশংকায় ঠিকাদার কাজ করতেও আগ্রহী হচ্ছেনা। ফলে এই দূর্যোগ সময় পার হলেই কাজ শুরু হবে। উত্তর বড়ঘোপ ও কৈয়ারা বিলের কিছু অংশ মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে বলে তিনি জানান।
অপর দিকে ঘুর্ণিঝড় মোখা‘র প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৯১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তৃুত রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জনপ্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন। উপজেলা প্রশাসন মনিটরিং শেল গঠন ও তদারকি করছেন। ইতিমধ্যে ৫ টন চাউল ও দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো: জিয়াউর রহমান জানান।
এ ছাড়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বরাদ্ধ রয়েছে যা পাঠানো হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার দীপংকর তঞ্চাঙ্গ্যা জানান, ঘুর্ণিঝড় মোখা‘র প্রভাবে ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে ও জানমাল রক্ষায় জনসচেতনা বৃদ্ধি, মনিটরিং শেল গঠন,দায়িত্ব পালনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি, বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।