আখাউড়ায় শীতের তীব্রতায় গরম কাপড় কেনার হিড়িক
চেঙ্গী দর্পন, স্টাফ রিপোর্টার , ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্য প্রবাহে জবুথবু অবস্থা।হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দরিদ্র মানুষের ভোগান্তি অনেক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়ের কেনাবেচা। পৌর শহরের কয়েকটি স্থানে গরম কাপড়ের ধুম বেচাকেনা নজরে পড়েছে। কাপড়ের দোকান গুলোতে জ্যাকেট, সোয়েটার, গায়ের চাদর, মাফলারের পাশাপাশি কানটুপি ও হাত- পায়ের মোজার বেচাকেনা এখন রমরমা। চাহিদা বেশি হওয়ায় বিক্রেতারাও বেশি দাম হাঁকছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
এদিকে উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মলের দিকে ছুটলেও নিম্নবিত্তদের ফুটপাতের দোকানগুলোই যেন ভরসা। চর নারায়ণপুর গ্রামের আলী হোসেন বলেন, এবারের শীত মনে হয় কবরে নামায়বো। শীতের কারণে পা গরম রাখতে এক সাথে তিন জোড়া মোজা কিনছি। দাম হইলে কি হইবো আগে শীতের হাত থেকে তো বাচতে হইবো।
বৃহস্পতিবার বিকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারের মায়াবী শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ভ্যানে গরম কাপড় বিক্রি করছেন সোহেল নামের এক যুবক। তার ভ্যানের সামনে পুরুষের তুলনায় নারী ক্রেতাই বেশি।
আমীনা নামের এক কর্মজীবি নারী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রোদ না উঠায় কাপড় শুকাতে পারছি না। তাই বাচ্চাদের জন্য দুই জোড়া করে গরম কাপড় কিনছি। মরিয়ম নামের আরেক নারী বলেন, আগে যে মোজা ৩০ টাকা দিয়ে কিনেছি সেই মোজা এখন ৮০ টাকা। শীত বাড়তেই দাম বেশি চাইছে ।
সড়ক বাজারের খসরু নামের এক তৈরি পোষাক বিক্রেতা বলেন, সারাদেশের মত আখাউড়াতেও শীতের তীব্রতা বেশি বলে ক্রেতারা গরম কাপড় কিনতে ভীড় করছেন। তিনি বলেন , আমার দোকানে নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরাই বেশি কাপড় কিনতে আসেন। ক্রেতারা স্তুপ থেকে তাদের পছন্দের কাপড় কিনছেন। বেশি বিক্রি হচ্ছে হাত পায়ের মোজা ও কান টুপি। তিনি আশা প্রকাশ করেন সামনে তার বেচাকেনা আরো বাড়বে।