পদ্মা সেতু খুলে দিতেই প্রথম টোল প্রদানকারী হতে প্রতিযোগীতা
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,মাওয়া টোল প্লাজা থেকে :
শনিবার রাত থেকেই মোটর সাইকেল,বাস,ট্রাকের সারি। পদ্মা সেতু পার হওয়ার জন্য টোলপ্লাজা থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা জুরে সবাই অপেক্ষমান। জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পর মাওয়া প্রান্ত থেকে মোটর সাইকেল যানবাহন প্রথম টোল প্রদান করে পদ্মা সেতু পারি দিবে এনিয়ে রাত থেকেই অনেকে সেতুর মাওয়া প্রান্তে অবস্থান নেয়। ভোর হতেই এই প্রতিযোগতা তীব্র হয়ে উঠে।
সকাল ৫টা ৫৮ মিনিটে টোলপ্লাজার ৬টি কাউন্টারের মধ্যে ৫টি কাউন্টার খুলে দেওয়া হয়। খুলে দেওয়ার পর এই প্রতিযোগীতায় সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম টোল প্রদান করে জাজিরা প্রন্তের দিকে ছুটে যান বলে দাবী করেন ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে ঘুরতে আসা আমীর হোসেন(৩৫)। তার মোটরসাইকেলে নাম্বার ঢাকা মেট্রো হ ৬০-৬০৩৯। তবে তার টোকেন নাম্বারের সিরিয়াল প্রথম ছিল না।
ট্রাকের মধ্যে প্রথম পার হয় চালক শিবু দাসের ঢাকা মেট্রো ট -১৮-৭২২২ সিরিয়ালের ট্রাক। প্রাইভেট কারের মধ্যে প্রথম টোল প্রদানকারী গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো গ ২৮-০৯৮৬। অপরদিকে এনা পরিবহনের একটি বাস ঢাকা মেট্রো হ ১৫-৪৬২৪ সিরিয়ালের গাড়িটি টোল প্রদান করে জাজিরার দিকে ছুটে যায়।
রবিবার সকালে থেকে সময় বাড়ার সাথে সাথে দেখা যায়, সৌখিন ভাবে সেতু পার হওয়ার জন্য মোটর সাইকেল আরোহীদের ভীড় বাড়তে থাকে । অনেককে দেখা যায় সেতু বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে সেতুর বিভিন্ন স্থানে মোটর সাইকেল ও গাড়ি থামিয়ে বিভিন্ন ভাবে ছবি ও ভিডিও ধারণ করছে। বেশ কয়েকটি দলকে দেখা যায় একই রকম টি শার্ট পরে সেতুর উপর দাড়িয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করছে।
অপরদিকে বেশ কয়েকটি স্থানে গানের তালে তালে টিকটক ভিডিও তৈরি করছে। পুলিশের টহল টিম থাকলেও এসব ভিডিও ধারণকারীরা তাদের নিষেধ তেমন আমলে নিচ্ছে না।
মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজার ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, সকাল ৬টার দিকে একটি মোটরসাইকেল টোলপ্লাজা অতিক্রম করে। টোলপ্লাজার ৬টি কাউন্টারের মধ্যে ৫টি খোলা রাখা হয়েছে।