Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

খাগড়াছড়িতে পর্যটন গন্তব্য মূল্যায়ন ভ্যালিডেশন কর্মশালা

 স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর সহায়তায় ProGRESS (Promoting Gender Responsive Enterprise Development) প্রকল্পের আওতায় “পর্যটন গন্তব্য মূল্যায়ন বিষয়ক ভ্যালিডেশন কর্মশালা” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ কর্মশালায় খাগড়াছড়ির সম্ভাবনাময় পর্যটন উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

 

 

গবেষণা প্রতিবেদনে জেলার পাঁচটি সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পটের মধ্যে পানছড়ির মায়াবিনী লেক সর্বোচ্চ ৮৮ নাম্বার পেয়ে শীর্ষস্থানে জায়গা করে নেয়। আর মাটিরাঙ্গার তেরাং তুই কালাই (রিছাং ঝর্ণা) ৫৫ নাম্বার পেয়ে উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে সাজেক ভ্যালিকে কেন্দ্র করেই পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ করেন। তবে বিকল্প পর্যটন গন্তব্য উন্নয়ন করা গেলে জেলার পর্যটন খাত নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।

 

 

বক্তারা বলেন, কমিউনিটি-ভিত্তিক পর্যটন মডেল শক্তিশালী করা হলে স্থানীয় জনগণের আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবহন সহজীকরণ, প্রশিক্ষিত ট্যুর গাইড নিয়োগ, প্রচারণা জোরদার, হোমস্টে এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

 

 

গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, সম্ভাবনাময় অনেক পর্যটন গন্তব্যে এখনো বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ ও আবাসন সুবিধা সীমিত। তাই জেলা পরিষদ, স্থানীয় কমিউনিটি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

 

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা,এবং এতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসাইন।

 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রোগ্রেজ প্রকল্পের সমন্বয়ক পাইউমং চৌধুরী এবং গবেষণা উপস্থাপন করেন প্রধান পরামর্শক নবলেশ্বর ত্রিপুরা লায়ন।

 

 

বক্তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, মায়াবিনী লেক ও রিছাং ঝর্ণার উন্নয়নের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি পর্যটনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে এবং পার্বত্য অঞ্চলের সামগ্রিক সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।

 

এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ,জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সুমন, প্রফেসর আব্দুল লতিফ, প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মনজিলা সুলতানা ঝুমা, জয়া ত্রিপুরা এবং আইএলও বাংলাদেশ’র প্রতিনিধি আলেক্সাস চিসাম প্রমুখ।

 

এছাড়াও জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার, ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতিনিধি নিশাত রায়, ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজন চাকমা, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, নারী উদ্যোক্তা, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Back to top button