সিংগাইরে এটিইও ফারুক হোসেনের দুর্নীতি ; তদন্ত শুরু
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক ,সিংগাইর (মানিকগঞ্জ): মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়ার পর স্লিপ ফান্ডের টাকায় কেনাকাটার নামে লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গেল বছরের ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক ভোরের কাগজে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। যার প্রেক্ষিতে উপজেলা সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটির তদন্ত শেষ না হতেই আবারো আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দুর্নীতি। আর এ লুটপাটের মূল হোতা এটিইও মোঃ ফারুক হোসেন।
সূত্রমতে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের উপজেলার ৯৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ডের টাকায় কেনাকাটার দুর্নীতি তুলে ধরে এক নারী প্রধান শিক্ষকের স্বামী (অবঃ) শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। জেলা শিক্ষা অফিসার অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মাইনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। ওই তদন্ত কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সিংগাইর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মাইনুল ইসলাম বলেন, এটিইও ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে স্লিপ ফান্ডের টাকায় কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি মাত্র। এতে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকদের উপস্থিতি স্বাক্ষরসহ লিখিত বক্তব্য নেয়া হয়েছে।
এর আগে প্রকাশিত সংবাদের সুত্র ধরে উপজেলা সমন্বয় সভায় গঠিত তদন্ত কমিটি এ অফিসের দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ সদস্যের অন্তর্ভুক্ত এক জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন। তবে ওই কমিটির প্রধান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ বলেন, তদন্ত কাজ শেষের দিকে। আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দেয়া হবে ।
এদিকে, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার (এটিইও) অভিযুক্ত মোঃ ফারুক হোসেনের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সিংগাইর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দা নার্গিস আক্তার অভিযোগের তদন্ত অস্বীকার করে বলেন, স্লিপ ফান্ডের ভ্যাটের টাকা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। আমি সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে আরো কিছু তদন্ত হবে বলেও তিনি জানান।