
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ০৯ টি উপজেলার একশত পঞ্চাশের মতো বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ার রয়েছে, টাওয়ারে কর্মীরা না আসায় দীর্ঘদিন ধরে নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। এমত অবস্থায় ডিজিটালের এই যুগেও নেটওয়ার্ক সমস্যা ভুগছে পাহাড়ের কয়েক লাখ মোবাইল ব্যবহারকারী।
সুত্র জানায় ,গত ১৯ এপ্রিল মানিকছড়ির ময়ুরখীল থেকে অপহরণের শিকার ২ টেলিকম কর্মী (মো. ইসমাইল মিয়া ও আবে মারমা) ও গত ৫ জুন ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের কর্ণফুলী বাজার এলাকার টাওয়ার থেকে অপহৃত অপর ২ টেলিকম কর্মী (মো. সুমন ইসলাম ও আব্দুর রহিম) সহ মোট ৪জন সহকর্মীকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট টেলি কমিনিউকেশন কর্মচারী ইউনিয়ন। ২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
এ সময় এ সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
১। অপহৃত চারজন টেলিকম কর্মীকে অবিলম্বে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের জন্য রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ।
২। অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
৩। পার্বত্য এলাকায় কর্মরত টেলিকম শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪। টাওয়ার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর জবাবদিহিতা ও নজরদারি বৃদ্ধি করা।
৫। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত ও আন্তরিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত টেলিকম ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান রাকিব বলেন, রবি আজিয়াটা, ইডটকো এবং সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেড বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপণ করছে। অপহরণ বিষয়ে থানা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবায় নিয়োজিত সহস্রাধিক টেলিকম কর্মী।এ সময় তিনি দ্রুত অপহৃতদের উদ্ধারের দাবি জানান।