Breakingঅপরাধজাতীয়পার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসীর অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

কুকি-চিন সন্ত্রাসী ২ জন নিহত

স্টাফ রিপোর্টার,বান্দরবান :
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর চালানো এক বিশেষ অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় এক কমান্ডার সহ দুইজন সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়েছে।

 

৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার দিবাগত ভোররাতে এই অভিযান পরিচালিত হয় রুমা উপজেলার ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুয়ালপি পাড়া ও পলি প্রাংসা পাড়ার মাঝামাঝি অবস্থিত তাইংদাং ঝিড়ির আগা ও নাইতং পাহাড়ের পাদদেশে। সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ সন্ত্রাসীদের প্রধান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে তাদের ব্যবহৃত ১টি রাইফেল, ও এসএমজি ৩টি ম্যাগাজিন ৮টি ইউনিফর্ম ৩ টি মিঃ এ্যামো ৬০ রাউন্ড মিঃ এ্যামো ২৩৭ রাউন্ড বিপুল পরিমাণ গুলাবারুদ ও অন্যান্য উদ্ধার করা হয়।রুমা সেনা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল পি এসসি মোঃ আলগীর হোসেন অফিসারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে ঘটনা স্থলেই কেএনএ’র ‘মেজর’পদমর্যাদার কমান্ডার ও সদস্য তার এক সহযোগী নিহত হন।

 

অভিযান শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন। রুমা জুন কমান্ডার জানান, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত সম্প্রতি রুমা ও থানচি এলাকায় সংঘটিত ব্যাংক ডাকাতি ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন।

 

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য মতে, গতকাল রাত থেকেই সেনা সদস্যরা পাহাড়ি ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। “ভোররাতে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর দেখি সেনাবাহিনী দুই টি মরদেহ নিয়ে পাড়ার দিকে আসছে।”

 

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পুরো এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে কুকি-চিন সন্ত্রাসী সংগঠন বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সংগঠনটি বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ডাকাতি, মুক্তিপণ আদায়, এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

সেনাবাহিনীর এই অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ভেঙে দেওয়া এবং সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের হতাহতের ঘটনাকে সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button