অপরাধসারাদেশ

শ্রীনগরে এজহারভুক্ত আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা,এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সিগঞ্জ:
শ্রীনগরে গ্রেপ্তার যুবদল নেতাকে থানা হাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।থানা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এক্সপ্রেসওয়ের অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

 

১১ জানুয়ারী ২০২৫, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে যুবদল,ছাত্রদল,স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ জনের নাম উল্লেখ সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে মামলাটি করেন থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক।

 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া,পুলিশকে মারধর করে আহত করা এবং থানা কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছে।এ মামলায় উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।এছাড়াও মামলাটিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আরো ১৬০-১৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনায় সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামির নাম তরিকুল ইসলাম। তিনি শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। গতকাল শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে থানার অফিস কক্ষ থেকে তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা।

পুলিশ ও থানা সূত্রে জানা যায়, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়।মামলাটি নেওয়ার জন্য মুন্সিগঞ্জ আদালত থেকে পুলিশকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি ছিলেন তরিকুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখে। এর কিছুক্ষণ পরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে। প্রায় ২০০ নেতা–কর্মী থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকে। পুলিশের সঙ্গে তাঁরা বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জোর করে ওসি ও সার্কেল এসপির সামনে থেকে আসামি তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান বলেন, সন্ধ্যা ৭টায় থানায় গেছিলাম এবং কিছু সময় থেকে আমি ঢাকায় চলে আসি একটি দাওয়াতে,পরে থানায় কি হয়েছে তা আমার জানা নাই। তার বিরুদ্ধে কোনো একটি পক্ষ মিথ্যা দোষারোপ করার চেষ্টা করছে।

 

এদিকে থানা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এক্সপ্রেসওয়ের অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।এ সময় তারা ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।এ কারণে মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। তবে জরুরি সেবা ও এ্ম্বুলেন্স চলাচল করতে দেওয়া হয়েছে।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান,এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় এক ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল।পরে আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলে ছাত্ররা মহাসড়ক থেকে সরে যায়। পরে আবারো এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Related Articles

Back to top button