Breakingদুর্ঘটনাসারাদেশ

চান্দিনা বাজারে আবারো ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, চান্দিনা, কুমিল্লা  :
কুমিল্লার চান্দিনা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৪ দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভষ্মিভুত হয়।

 

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে পুরাতন গরু বাজার সংলগ্ন ৪ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর মধ্যে লেপ তোশক, ফ্রিজ  এসি মেরামত,কুটিরশিল্প এবং কলা দোকানসহ মোট ৪ টি দোকান পুড়ে যায়।

 

একই ভাবে গত শুক্রবার(২০ ডিসেম্বর) চান্দিনা বাজারের ২০ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়।এতে অন্তত এক কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রায়ই আগুন লাগার ঘটনা মধ্যরাতে হয়ে থাকে। গত শুক্র বার দিবা গতরাত আড়াইটা মধ্যে চান্দিনা বাজারে বাস স্টেশন সংলগ্ন মার্কেটে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত নিয়ে ধুম্রজাল বিরাজ করছে।

এর মধ্যে মাতৃভূমি মিষ্টি দোকান, আলী ডেইরি এন্ড বেকারী, সোনালী বীজ ভান্ডার, নিউ সোনালী বীজ ভান্ডার, সবুজ বীজ ভান্ডার জসিম টেলিকম, কাদেরিয়া টেলিকম, রাসেল টেলিকম, ইউছুপ স্টোর, জাকারিয়া টেলিকম, রাজুয়ারা ষ্টোর, মায়ের দোয়া স্টোর, আলি সুইট ডেরি, ৯৯ সপ, মোবাইল সার্ভিসিং দোকান, বেকারি দোকান, সেলুন সহ অন্তত ২০টি দোকান পুড়ে যায়।

 

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস বিষয়টি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত দাবী করলেও একাধিক ব্যবসায়ীরা বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত অগ্নিকান্ড বলে দাবী করেন।

 

ব্যবসায়ীরা জানান,গত শুক্রবার দুপুর ১২টার পর দোকান-পাট বন্ধ করে অনেকেই চলে যায়। রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা বাড়ি থেকে ছুটে আসি। আমাদের অনেক ব্যবসায়ীর সর্বস্ব পুড়ে গেছে। আমরা এখনও হিসাব করেনি, তবে এক কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।একই ভাবে আজকেও ৪ টি দোকানে আগুন লাগে।

 

চান্দিনা বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি এরশাদ আলী ভূঁইয়া জানান, গত শুক্রবার রাত আড়াইটায় অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে আজকে ও ঠিক প্রায় একই সময় রাত ১:৩০ মিনিট এর মধ্যে আগুন লাগে। তবে কিভাবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।আজকে ও চারটি দোকান পুড়ে ছাই,একই ভাবে ঐদিনের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন সারিতে থাকা অন্তত ২০টিরও বেশি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে শুধু দোকানই নয়, অনেক গোডাউন ছিল। যে কারণে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।

 

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার অনয় কুমার ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট চারদিক দিয়ে ঘিরে প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।

 

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় এতে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চারদিকে আরো অনেক দোকান ছিলো যদি দেরি হতো তাহলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেতো। ঐদিন ও দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিভাতে সক্ষম হয়ছি।এতে কমপক্ষে ১৫ দোকান পুড়ে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

Related Articles

Back to top button