স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর:
সরকারের পতনের পর বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের নামে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পদত্যাগ করানো প্রতিদিনে রুটিনে পরিণত হয়েছে। যদিও সরকার এ বিষয়ে কঠোর প্রজ্ঞাপণ জারি করেছেন। তারপরও এখনো দেশের কোন কোন বিদ্যালয় এ ধরনের আন্দোলন কথা আলোচ্য সর্ব মহলে রয়েছে। কিন্তু এই আন্দোলনের বিপরীত আন্দোলন অর্থাৎ শিক্ষকদের পক্ষে আন্দোলন করেছে ফরিদ পুরের আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবী, বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক নুরুদ্দোহা সোহেলের পদত্যাগের দাবীতে বহিরাগত কিছু মানুষ আন্দোলন করার ষড়যন্ত্র করেন। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
এমন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি উপজেলা সদর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে সমবেত হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ‘সোহেল স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মানবো না মানবো না’, ‘বাহিরের রাজনীতি, স্কুলে চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
রওনক আরা নামে ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের স্যার কোন অনিয়ম-দুর্নীতি করেনি। কিন্তু তারপরও বাহিরের কিছু সংখ্যক মানুষ আমাদের স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করেছে। তাই আমরা এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে বিক্ষোভ করেছি।’
মুন্না খান নামে ১০ম শ্রেণির অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের স্যারদের বিরুদ্ধে বাহিরের কেউ কোনরকম ষড়যন্ত্র করলে আমরা শিক্ষার্থীরা মেনে নিবো না। বাহিরের কোন অপরাজনীতি আমাদের বিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন হতে দিবো না।’
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক নুরুদ্দোহা সোহেল জানান, ‘লোকমুখে শুনেছি আমার বিরুদ্ধে বহিরাগত কিছু লোকজন ষড়যন্ত্র করে আন্দোলন করার চেষ্টা করেছিল। তবে কি কারণে এমন ষড়যন্ত্র তা আমার জানা নেই।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘বহিরাগত কিছু লোকজন বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন। এমন গুঞ্জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা নিজ উদ্যোগে এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ স্বরূপ বিক্ষোভ মিছিল করেন।’
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন বলেন, ‘বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা আমার নিকট এসেছিল। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’