Breakingজাতীয়সারাদেশ

হামলার প্রতিবাদে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জাবি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে

প্রায় ৭ হাজারের উপরে শিক্ষার্থীদের একত্রে অবস্থান

ডেক্স রিপোর্ট :
গতকাল মধ্যরাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষেভ সমাবেশে চার দফা হামলা চালয়েছে শাখা ছাত্রলীগসহ ক্যাম্পাসের বাইরের ভাড়াটে গুন্ডারা। এর প্রতিবাদে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ( জাবি) সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। হামলাকে মোকাবেলা কর‍্যে সককে এক হয়ে মাঠে নেমেছেন তারা।

 

 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জড়ো হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) দিয়ে বের হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশ মাইল এলাকা হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আবার শহীদ মিনারে এসে জড়ো হোন। এসময় তাদেরকে কাউকে আঘাত করতে দেখা যায় নি এবং কোন ভাঙচুর করতে দেখা যায় নি।

 

মধ্যরাতে হামলা ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র আক্রমণের প্রতিবাদে মিছিলটি বের করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রশাসনের উপস্থিতিতে ও পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের বাহিনী কিভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করতে পারে সেই প্রশ্নের জবাব দিবে কে? শিক্ষার্থীরা চান এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ছাত্রলীগের অস্তিত্ব থাকতে পারবে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি উচ্ছেদ করতে হবে বলে জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

 

এসময় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে দলে দলে মিছিল নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে দেখা যায়। স্কুল কলেজ থেকে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হয়েছে।

এদিকে ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষকরা মৌন মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন। এদিকে উপাচার্য এক জরুরি সিণ্ডিকেট বৈঠক ডাক দিয়েছেন। সেখানে শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে উপাচার্য যেন হল ভ্যাকেন্ট না দেয় সেজন্য হুশিয়ারি দিয়ে আসছেন। পরে সিন্ডিকেট তারা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় হল ভ্যাকেন্ট দিবে না।

 

রেজিস্ট্রার ভবনে অবস্থান নিয়ে তারা বক্তব্যে উপাচার্যসহ প্রশাসনের দোষ দিয়েছেন। তারা উপাচার্যের কাছে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যায়ভার বহনের কথা জানান। পাশাপাশি এই ধরণের হামলার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে বহিষ্কারের দাবি ও জানান তারা।

 

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা খাতুন বলেন, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনভাবেই এই বহিরাগতরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিতে পারে না। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি এই এখানে উপাচার্যের ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাসে নেই। আপনারা কি দায়িত্ব পালন করছেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হয়েছেন। আর যদি এই শিক্ষার্থীদের উপর আঘাত আসে আপনারাও শান্তিতে থাকতে পারবেন না। অভিভাবক হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

Related Articles

Back to top button