খাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

পাহাড়ের “বৈ-সা-বি” উৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি:
পার্বত্য চট্টগ্রামে আবহমান কাল ধরে লালিত ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে বৈসু, সাংগ্রাইং, বিঝু, বিহু, বিসু, সাংগ্রান, চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ উৎসব। এ সকল উৎসবে বহুমুখী কৃষ্টি-সংস্কৃতির বর্ণিল শোভায় শোভিত হয় সমগ্র পার্বত্য জনপদ। এরই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট গ্রহণ করেছে বর্ণিল কর্মসূচি।

 

 

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার সকালে শহরের পৌর টাউন হল থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোঃ আমান হাসান পিএসসি, জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

 

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে গুইমারার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, ডিজিএফআইয়ের ডেট কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মোঃ আরিফ, খাগড়াছড়ি বিজিবির সেক্টর কর্ণেল মোঃ নাজমুল হক, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবুল হাসনাত জুয়েল, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্যনির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা প্রমুখ। এতে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, পার্বত্য জেলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কর্তাব্যক্তি ও পরিষরেদ সকল সদস্য, জেলা, সদর ও পৌর আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মবৃন্দ অংশ নেন।

টাউন হল থেকে বের হয়ে র‌্যালিটি শহরের মূল সড়ক শাপ্লা চত্ত্বর হয়ে উপজেলাস্থ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এখানে ‘মঙ্গল প্রদীপ’ জে¦লে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্ব্যোগে আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা প্রতিযোগিতা, গরিয়া নৃত্য, বৈসাবি মেলাসহ সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন খেলাধুলা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এবং বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

 

শোভাযাত্রায় সরকারি-বেসকারি, সামরিক-বেসামরিক, সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের হাজার হাজার লোকজন নিজেদের ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল পোশাকে সঞ্জিত হয়ে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে। বৈসাবির আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে তরুণ তরুণীদের নাচ আর গানে উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে পার্বত্য খাগড়াছড়ি।

Related Articles

Back to top button