খাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলবিনোদনসারাদেশ

খাগড়াছড়িতে ৩ দিন ব্যাপি নাট্য উৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার , খাগড়াছড়ি :
বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ৩দিনব্যাপি নাট্য উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

 

২৮মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে প্রথম দিন অড়ং থিয়েটারের পরিবেশনায় বিখ্যাত নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর নাটক চাকমা ভাষায় অনূদিত মার্চেন্ট অব ভেনিস মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে তিন-দিনব্যাপি এ নাট্য উৎসবে সূচনা হয়। এদিন নাট্য উৎসবটি মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন অত্র ইনস্টিটিউটের নির্বাহী সদস্য চামেলি ত্রিপুরা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিলেন ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা।

 

দ্বিতীয় দিন মঞ্চায়িত হবে অড়ং থিয়েটারের পরিবেশনায় মাচক্যান জ্যা অবলম্বনে মারমা নাটক মাছেং ও ত্রিপুরা নাট্যদল’র পরিবেশনায় ত্রিপুরাদের রুপকথার গল্প অবলম্বনে নাটক খেলাংবার।

 

তৃতীয় দিন মঞ্চায়িত হবে অড়ং থিয়েটারের পরিবেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “দুই বিঘা জসি” কবিতার অবলম্বনে চাকমা চাকমা ভাষায় অনূদিত নাটক দ্বি হানি ভুঁই এবং জুম ঈসথেটিকস কাউন্সিল (জাক) এর পরিবেশনায় মঞ্চায়িত হবে দুলো পেদার দোলি নাজানা।

 

মার্চেন্ট অব ভেনিস, মাছেং ও দ্বি হানি ভুঁই নাটকটি নির্দেশনায় ছিলেন লাব্রিচাই মারমা,খেলাংবার নাটকের নির্দশনায় ছিলেন রুমি ত্রিপুরা এবং দুলো পেদার দোলি নাজানা নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন সুখ ময় চাকমা।

 

তিন দিন ব্যাপি এ নাট্য উৎসবের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিলেন খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আর্য্যমিত্র চাকমা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রসঙ্গত: নাটক আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের বিশাল স্থান দখল করে আছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনেও এর প্রভাব সুদূর প্রসারী। আমাদের জীবনের চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের হাসি-কান্না, ঘাত-প্রতিঘাত, প্রেরণা-ক্ষোভ সবকিছুরই প্রতিফলন ঘটে নাটকের মঞ্চে। জীবন থেকে কুড়িয়ে নেয়া ছোট ছোট গল্পগুলোই অভিনয় শৈলীর মাধ্যমে দর্শকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া মঞ্চ নাটকের মূল উদ্দেশ্য। নাটক জীবনের কথা বলে। নাটক হচ্ছে সমাজ নির্মাণের হাতিয়ার। কখনও কখনও সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৈরী হয় নাটক।

Related Articles

Back to top button