স্টাফ রিপোর্টার , নোয়াখালী :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী (কোম্পানীগঞ্জ -কবিরহাট) থেকে নৌকা প্রতীকের দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হল পরগাছ। এই পরগাছাকে বিলুপ্তি করতে হবে। বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে, কেন বাদ পড়েছে ফাউল করে। তাদের আর রাজনীতির মাঠে খেলার সুযোগ নেই।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার বিকালে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মানে না।ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনিতে মানুষ হত্যা করা ঠিক সেইভাবে আন্দোলনের নামে তারা মায়ের বুকে শিশুকে পুড়িয়ে মারে। এরা গণতন্ত্র হত্যাকারী দল। যারা ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করে প্রহসনের নির্বাচন করতে চেয়েছে।
এর আগে সকালে ওবায়দুল কাদের নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী -৬ আসনের কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট, শান্তিরহাট, রংমালা বাজার, বাংলা বাজার, পেশকারহাট, নতুন বাজার টেকেরবাজারসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এই সময় তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান দন্ডিত আসামি ২০০৭ সালে পালিয়ে গিয়ে লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে আন্দোলন চলাতে চায়। তারা অসহযোগ আন্দোলন ডাক দিয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদেরকে অসহযোগিতার মাধ্যমে বিতাড়িত করবে। যারা নেত্রীকে হটাতে চায় আমরা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে হটিয়ে দিব।
নিজ এলাকার উন্নয়নের বিষয় বলেন, এই কবিরহাট এক সময় অবহেলিত ছিল এখানে গত ১৫ বছরে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, কালবার্ট, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে । আগামী দিনে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে রক্ষা করতে, হলে মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে ৭ তারিখ ফাইনাল খেলায় জিততে হবে।
এর আগে দীর্ঘ এক কিলোমিটার লাইনে জড়ো হয়ে ওবায়দুল কাদেরকে স্বাগত জানান কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
পথ সভায় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী, নোয়াখালী -৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান’সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা এসে ঝড়ো হোন এবং জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ও ওবায়দুল কাদের এর নামে স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে উপজেলা চত্বর।