সাতকানিয়ায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,সাতকানিয়া , চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ওই গৃহবধূর নাম নাঈমা সুলতানা নিশি (১৯)।
২২ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার দুপুরে সাতকানিয়ার দক্ষিণ ঢেমশা নাপিতের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নাঈমা সুলতানার বাপের বাড়ির লোকজন জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার সবুজ মিয়া সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় গাড়ির মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন। তিনি জনার কেঁওচিয়ার ব্যবসায়ী পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। আড়াই মাস আগে সবুজ মিয়ার মেয়ে নাইমা সুলতানার সঙ্গে সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঢেমশার নাপিতের চর এলাকার জালাল আহমদের ছেলে মোরশেদ আলমের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে নাঈমা সুলতানার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফোনে নাঈমা সুলতানাকে অসুস্থ অবস্থায় কেরানী হাটের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে এসেছেন বলে জানান। পরে নাঈমা সুলতানার বাবা-মা সহ পাশের বাসার লোকজন ক্লিনিকে এসে দেখেন নাঈমা সুলতানা মারা গেছে।
নাইমা সুলতানার বাবা সবুজ মিয়া বলেন, বিয়ের সময় মেয়ের জামাইকে ৪০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়ার কথা ছিল। ওই সময় ২২ হাজার টাকা নগদ দিয়েছিলাম। বাকি ১৮ হাজার টাকার জন্য জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েটিকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে।
সবুজ মিয়া আরও বলেন, আড়াই মাস আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাঁর হাতের মেহেদির রঙ এখনো মুছে যায়নি। গত ১৫-২০ দিন আগে থেকে মেয়ের জামাই এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ওই যৌতুকের টাকা না পেয়ে জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। আমি আমার নিরপরাধ মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গৃহবধুর লাশটি ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের ফলাফল পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।