আলীকদমে গরুর খামারে সফলতা পেলো আবু ছালাম
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, আলীকদম , বান্দরবান :
বান্দরবানের আলী কদম উপজেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে গরুর খামার গড়ে তোলে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি। স্থানীয়দের গরুর দুধের চাহিদা এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরিতেও ভূমিকা রাখছে খামারটি। খামার করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠা আবু ছালাম এখন উপজেলাবাসীর কাছে সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন।
প্রাণি সম্পদ বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, গবাদি পশু পালন একটা লাভজনক ব্যবসা। চাহিদা থাকায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে গরুর দুধ এবং মাংসের চাহিদা আরও বাড়ছে। কর্মসংস্থান তৈরি এবং বেকার যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে ২০১৭ সালে এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী গরু কিনে গড়ে তোলেন স্বদেশ ফ্যাটেনিং ফার্ম নামে গরুর খামার।
ছয় বছরের ব্যবধানে খামারে গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০টিতে। ইতিমধ্যে সফল এ খামারি বিক্রি করেছেন ছোট বড় ২০টি গরু। খামারে উৎপাদিত একেকটি গরু বিক্রি করেছেন দেড় থেকে দু’লাখ টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি দৈনিক বিশ থেকে পঁচিশ লিটার দুধ বিক্রি করেও ভালো আয় করছেন সফল এ খামারি। খামারে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে এলাকার অনেক যুককের।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আলম, ইসমাঈল, ইউনুচ বলেন, আলীকদম সদর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু ছালাম। জনপ্রতিনিধি হয়েও গরুর খামার গড়ে তোলে অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। স্থানীয় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরির পথ দেখাচ্ছে খামারটি। তার সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আলীকদম ও লামা উপজেলায় আরও কয়েকজন যুবক গরুর খামার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।
মো. আবু ছালাম বলেন, গন মাধ্যমে গরুর খামারের প্রতিবেদন দেখেই খামার গড়ে তোলার আগ্রহ ও উদ্যোক্ত হওয়ার স্বপ্ন তৈরি হয়। স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০১৭ সালে শুধুমাত্র একটি গাভী গরু কিনেই খামারের কাজ শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারের ২০টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি গাভী থেকে দৈনিক ২০ থেকে ২৬ লিটার পর্যন্ত দুধ পাচ্ছি। গরু এবং দুধ বিক্রি করে আয়ের অর্থ দিয়েই খামারটি পরিসর আরও বড় করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এবং বেকার যুবকদের পথ দেখাতেই খামার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কালিশংকর পাল বলেন, আলীকদমের গরুর খামারটি অন্যদের কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে গরুর দুধের চাহিদা অনেকাংশেই মেটাচ্ছে খামারটি। এই গরু খামারিকে গাভীর পরিচর্যা, কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা, গরু মোটাতাজাকরণ, কৃমিনাশক ওষুধ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাসহ নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ। লাভজনক এই ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আরও কয়েকজন গরুর খামার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।