Breakingদুর্ঘটনাপার্বত্য অঞ্চলরাঙ্গামাটিসারাদেশ

পর্যটন স্পট সাজেক অগ্নিকান্ডে ৪ ঘন্টায় সব ছাই

পুড়েছে শতাধিক স্থাপনা

বিশেষ প্রতিনিধি :
দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।সন্ধ্যায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়।অগ্নিকান্ডের ৪ ঘন্টায় পুড়েছে শতাধিক স্থাপনা।

 

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , সোমবার দুপুর ১টার দিকে রুইলুই পাড়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা, ও পানির স্বল্পতা থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে । বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আকতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজেকের মেঘসজ্জা রিসোর্টের মালিক মো. শাহিন জানান, ধারণা করা হচ্ছে ইক্যোভ্যালির রিসোর্ট পাশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। আগুনে প্রায় ৪১টির বেশি রিসোর্ট পুড়ে গেছে। এখনো অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান,দুুপুর পোনে ১ টার দিকে সাজেকের ইকোভ্যালিতে আগুন দেখা যায়। মুহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে রিসোর্টের চারদিকে। আগুনে পুড়েছে রিসোর্ট-কটেজ-রেস্তোরা গুলো হলো, ছায়ানীড়, তরুছায়া, সাজেক ইকো রিসোর্ট, আত্রিকা, মেঘ বাতায়ন, মেঘের ঘর, অধরা, মর্নিং স্টার, শালকা, রিমি ইকো কটেজ, মুননাইট, মাচাং ঘর, মেঘলা আকাশ, সানসিটা, বিকাশ বিলাস, পাহাড়পুঞ্জি, মাদল, ইকোবিহান, সাইরু, সালকা, মেঘবতী, ইকোভ্যালী, অবকাশ, মেঘছুট, টিজিবি লুসাই, নীল পাহাড়, টংঠং, মেঘজ্যোৎস্না, অধরা, মেডভেঞ্চার, শৈলকুটির, ফদাংথাং ছাউনি, শাল্কাও চাঁদের বাড়ী কটেজ। রেস্তোরা আর টি স্টলগুলো হলো চিলেকোঠা, মেঘপাই, পেদাটিংটিং, সিস্বল, মনটানা, মারুয়া ডি রেস্তোরা ও কফিডোর টি স্টল।একই সাথে সাজেক হেডম্যানের বাড়ি সহ স্থানীয়দের বাড়ীও পুড়েছে।বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, সাজেক ভ্যালির আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার আনা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে । আগুনের ঘটনায় কটেজ-রিসোর্ট, বসতঘর, দোকানপাট, রিসোর্ট কটেজ সহ প্রায় শতাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে। তবে প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Related Articles

Back to top button