Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

হাসপাতালে আগুনে পুড়া রোগীর ফাঁসিতে মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার , খাগড়াছড়ি :
জেলার পানছড়ি উপজেলা সদর হাসপাতালে আগুনে পোড়া রোগী রাতের আঁধারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

 

সুত্র জানায় , ২৭ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার সকাল ৬ টায় কর্মরত সেবিকা স্মৃতি চাকমা আগুনে জ্বলছে যাওয়া রোগী বিন্দু কুমার চাকমা (৭০)কে ঔষধ সেবন করাতে গিয়ে ফাঁসরত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক সকলকে বিষয়টি জানান।

 

কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্যামল মিত্র চাকমা জানান, গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার শরীরের ৪০% আগুনে দগ্ধ রোগীকে স্থানীয়রা হাসপাতালে আনেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হলেও তার কোন আত্মীয় স্বজন না থাকায় পানছড়ি সদর হাসপাতালের সমাজ সেবা ফান্ড থেকে তার চিকিৎসা সেবা চলছিলো। তার শারীরিক  অবস্থা  পুর্বের তুলনায় অনেক ভালোর দিকে ছিল। প্রায় ২০% ক্ষত সেরে যায়। সর্বশেষ গতকাল ২৬ নভেম্বর ২০২৪ দিবাগত রাত তাকে ঔষধ  ও গায়ে মলম লাগানো হয়।  ২৭ নভেম্বর  বুধবার সকাল ৬ টায় স্বাস্থ্য  সেবিকা ঔষধ  খাওয়াতে গিয়ে তাকে জানালার লোহার সাথে ফাঁসরত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে অন্যান্যরা এগিয়ে আসে ও বিষয়টি তাৎক্ষণিক থানায় অবগতি করানো হয়।

 

লোগাং ইউপি চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা জানান, দগ্ধ ফাঁসিতে মৃত বিন্দু কুমার চাকমা ( ৭০) লোগাং ইউনিয়নের সুখমনি পাড়া গ্রামের মৃত কুমোদ কুমার চাকমার ছেলে। সে মানসিক প্রতিবন্ধী ও বোকা ধরনের লোক ছিলো। সে বিয়ে করে নাই।একাই বসবাস করতো। ১৬ নভেম্বর ২০২৪ বাড়ির উঠানে পাতায় জমিয়ে আগুন লাগায় ও উঠানের আশপাশ থেকে আরো ময়লা আবর্জনা আগুনে দেওয়ার সময় আগুনে দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে নেয়। সেখানে হাসপাতাল সমাজ সেবার আওতায় চিকিৎসা চলছিলো।

 

মৃতের চাচাতো ভাই দেবল মনি চাকমা (৬০) জানান, তিনি গতকাল রাতে খাবার শেষে নিজ বাড়িতে চলে যান । সকালে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসি।

 

পানছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে যাই। মৃতের সুরতহাল তৈরি করে লাশ উদ্ধার করি। ময়না তদন্তের জন্য মৃত ব্যক্তিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর লাশ নিকট আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হবে ও রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

Related Articles

Back to top button