হাতিয়ায় নদীগর্ভে বিলীনের পথে তিন প্রাথমিক বিদ্যালয়
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক ,নোয়াখালী : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় গত ছয়-সাত বছরে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ১০টি বিদ্যালয়ের ভবন। বর্তমানে মেঘনা তীরের আরও তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
নদী ভাঙ্গনরোধ করা সম্ভব নয়, এমনটা দাবি করে প্রশাসন বলছে ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ভবনগুলো থেকে সকল সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মেঘনার প্রবল স্রোতে সরে গেছে বিদ্যালয় ভবনের নিচের অংশের মাটি, আশেপাশে দেখা দিয়েছে ফাটল। যে কোন মুহূর্তে বিলীন হতে পারে উপজেলার জনতাবাজার বহুমুখী আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি। বন্যা জলোচ্ছ্বাসসহ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয় হিসেবে উপকূলের মানুষের ভরসা এই ভবনটি। এটি বিলীন হলে হুমকির মুখে পড়বে চার শতাধিক শিশুর শিক্ষাজীবনও। এতে হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নদী কাছে চলে আসায় ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে ফরিদপুর ও হেমায়েতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবনও। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে থাকা এসব বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার ২’শ শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া বসতবাড়ি হারানোর শঙ্কায় আরও অন্তত ২৫ হাজার মানুষ।
স্থানীয় সাংবাদিক মো. আরিফসহ এলাকাবাসী বলেছেন, হাতিয়ার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় গত ৬-৭ বছরে বিলীন হয়ে গেছে আশ্রয়কেন্দ্র ও বিদ্যালয়ের অন্তত ১০টি ভবন। আর ঘরবাড়ি হারিয়েছেন অন্তত ২৫ হাজার পরিবার। এদিকে শতভাগ ভাঙ্গন ঝুঁকিতে থাকায় বিদ্যালয় ভবনগুলো নিলাম পক্রিয়ায় ভেঙ্গে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি এ স্থাপনাগুলো নদীতে বিলীনের পর এর সাথে আঘাত লেগে ট্রলারসহ নদীতে চলাচলকারী নৌযান দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
হাতিয়ার সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস জানান, হাতিয়ার নদী ভাঙ্গন রোধে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি খুব শ্রীঘই একনেকে পাশ হয়ে যাবে। ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাতিয়াবাসীর দুঃখ অনেকটা দুর হয়ে যাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন, ভাঙ্গনরোধে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। একনেকে পাশ হলেই কাজ শুরু হবে।