Breakingঅপরাধচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

স্কুল ছাত্রী অদিতা হত্যাকারী রনির ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ

চেঙ্গী দর্পন ,স্টাফ রিপোর্টার,নোয়াখালী :
নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে জবাই করে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনি গৃহ শিক্ষক আবদুর রহিম রনির দ্রুত ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর আবদুল মালেক উকিল প্রধান সড়কের টাউনহল মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ৬ দফা দাবিতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করে নিহত অদিতার সহপাঠী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে খুনি ও ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, ‘আমার বোন কবরে ? খুনি কেনো বাহিরে। ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই।

এর আগে, স্কুলছাত্রী অদিতা হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রনিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার পর ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত রনির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জর করে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রনিকে রিমান্ডে নেয় পুলিশে। রিমান্ডে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রনি ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।

অভিযুক্ত রনির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে অদিতার বাসায় যায় সাবেক গৃহ শিক্ষক রনি। বাসায় গিয়ে বন্ধ দরজা নক করলে অদিতা বাসার দরজা খুলে দেয়। তখন সে বাসায় প্রবেশ করে অদিতার সঙ্গে গল্প গুজব করে। গল্প গুজবের একপর্যায়ে রনি অদিতাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন কারণে ব্যর্থ হয়। এরপর রাগান্বিত হয়ে অদিতা বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে রনি অদিতাতে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে রান্না ঘর থেকে ছোরা এনে অদিতার বাম হাতের রগ এবং গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে হাতের বাঁধন খুলে দেয়। এরপর আসামি রনি ঘটনাকে ভিন্ন খাতে রুপ দিতে ঘরের আলমিরা ও ওয়ার ড্রবের জামা-কাপড়, কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রুমের দরজা লক করে এবং মূল ঘরের দরজা বাহির থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অদিতা হত্যার সম্পূর্ণ ক্ললেস মামলার রহস্য উদঘাটনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধান আসামি আবদুর রহিম রনিকে গ্রেফতার করি এবং আদালতে তার রিমান্ড চাইলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড অনুমতি দেয়।

ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রনি অদিতাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করেছে মর্মে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের ৬ দফার মধ্যে ৪টি দাবিই মানা হয়েছে। তার পরও তারা আন্দোলন করছে।

Related Articles

Back to top button