সেনা প্রধানের উপহার হিসাবে পাহাড়ের প্রত্যন্ত্যাঞ্চলে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি :
পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার দুর্গম প্রত্যন্তাঞ্চল রেজামনিপাড়া ও কারিগরপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের উপহার স্বরূপ বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার সকালে পানছড়ি উপজেলার দুর্গম প্রত্যন্তাঞ্চল রেজামনিপাড়া ও কারিগরপাড়ায় ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ, এইচডিএমসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের উপহার স্বরূপ বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
সুত্র জানায় ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তার পাশাপাশি পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্মানিত সেনাপ্রধান গত ২৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে খাগড়াছড়ি জোনের আওতাধীন রেজামনিপাড়া আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। যেখানে তিনি পূর্বে ক্যাম্প কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরিদর্শনকালে সেনা প্রধান এলাকার প্রাক্তন মেম্বার, কারবারীদের সাথে মতবিনিময়ের সময় স্থানীয়রা তাদের বিভিন্ন সমস্যা সহ বিশুদ্ধ পানি সংকটের কথা তুলে ধরেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের প্রকল্প উদ্বোধন কালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা , জেলা প্রশাসক মোঃ এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার , খাগড়াছড়ি সেনা জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ খাদেমুল ইসলাম পিএসসি ,পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল বিপিএম, জেলা পরিষদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল লতিফ, ইউপি চেয়ারম্যান ভুমিধর রোয়াজা সহ স্থানীয় ইউপি সদস্য,কার্বারীগন , গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
রেজামনি পাড়া ও কারিগর পাড়ার স্থানীয়রা জানান, আমরা গহীন- দুর্গম ও বিদ্যুৎ বিহীন এলাকার বাসিন্ধা হওয়ায় যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ নানা সমস্যায় থাকি। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো বিশুদ্ধ খাবার পানির সমস্যা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মহৎ উদ্যোগে আমাদের কথা শুনে দুর্গম প্রত্যন্ত্যাঞ্চলের ১১৭ পরিবারের পানীয় জলের অভাব পুরণ করেছে। আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। অন্যান্য সমস্যা গুলোর সমাধান হলে আমাদের অনেক কষ্ট লাঘব হবে। আশা তরি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে দিবেন।