সীমান্তে কড়াকড়ি এবারও প্রাণহীন বারুণী উৎসব
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, রামগড় ,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের সাব্রুম সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহি বারুণী স্নাণ উৎসব এবারো সীমান্ত বাহীনির কড়াকড়িতে ভাটা পড়েছে। এ উৎসবকে ঘিরে বিগত কয়েক যুগ ফেনী নদীতে দুই দেশের কয়েক লাখ মানুষের সমাগত ঘটতো। বিগত ২০১৭ সালে রহিঙ্গা ও পরবর্তীতে করোনা ইস্যুতে ভারতীয় সীমান্ত বাহীনি বিএসএফ এর সর্তকতা জারী করে সীমান্তে । একই সাথে বাংলাদেশ অংশে বিজিবিও নিরাপত্তা জোরদার করে। এতে করে কয়েক বছর ধরে বারুনী মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ রবিবার সকাল থেকে ভারতীয় বিএসএফ নদী পারাপার ঠেকাতে নদীর মাঝখানে ফিতা টেনে সর্তক অবস্থান নেন। দুই দেশের সীমান্ত বাহীনির একমন কড়াকড়িতে নিজ নিজ দেশের অংশে পূজা ও স্মান করে ফিরে গেছেন পুণ্যার্থীরা।
জানা গেছে, চৈত্রের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশি তিথিতে পূর্ণ লাভের আশায় প্রতিবছর ফেনী নদীতে বারুনী মেলায় মিলিত হন দুই দেশের হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপশি নিজেদের পুণ্যলাভ ও সকল প্রকার পাপ, পংকিলতা থেকে মুক্তি লাভের আশায় ফেনী নদীতে বারুনী স্নানে ছুটে আসেন সনাতন ধর্মালম্বীদের শিশু, কিশোর, বৃদ্ধা সহ সকলেই। বারুণী মেলা শুধু বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমিত নয় বরং ত্রিপুরা, মারমা, চাকমা, মুসলিম সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সমাগম ঘটে এ মেলায়।
সীতাকুন্ড থেকে আসা সিতারানী জানান, তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরায়। প্রতিবছর এ দিনটার অপেক্ষায় থাকেন ভারতে থাকা তার মেয়ের সাথে দেখা করবেন বলে। কিন্তুু অনেক আশা নিয়ে এসেও বিএসএফ এর বাঁধার শুধু দূর থেকে মেয়েকে দেখেছেন।