Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলজাতীয়দুর্ঘটনাশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

সীতাকুন্ড থেকে এখনো আসছে একের পর এক মরদেহ

চেঙ্গী দর্পন ,চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম মেডিকেলে এখন শুধু লাশের স্তুপ। সীতাকুন্ড থেকে এখনো আসছে একের পর এক মরদেহ আর আহতরা। নিহতদের স্বজনরা খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের প্রিয়জনের মরদেহ।

গত শনিবার রাত ৯ টা থেকে রবিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ ঘন্টায়ও আগুন নেভানো যায়নি, যদিও ফায়ার সার্ভিসের ২৫ টি ইউনিটসহ আরো কিছু সংস্থা সেখানে কাজ করছে। এদিকে দুর্ঘটনাস্থল ও চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ নানা বেসরকারি ক্লিনিকে অনেকেই খুঁজে পাচ্ছেন না তাদের প্রিয়জনদের।

সীতাকুন্ডের ওই বেসরকারি কন্টেইনার ইয়ার্ড এলাকা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আহতদের তীব্র ছটফটানি- আর্তনাদ আর কান্নার রোল চলছে গত শনিবার রাত থেকেই। ঘটনার প্রথম দিকে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে তেমন আঁচ করা না গেলেও যতই সময় যাচ্ছে ততই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এসব দেখে চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও সদস্যরাও প্রচন্ডভাবে বিস্মিত ও হতবাক হয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের মত অতিরিক্ত দাহ্য পদার্থের কারনে এত বিশাল বিস্ফোরন ও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমদিকে এই রাসায়নিকের বিষয়টি ইয়ার্ড কতৃপক্ষ না জানানোতে এই বিপর্যয় ঘটেছে। ঘটনাস্থলে থাকা সেনাবাহিনীর টীমের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগুন এখনো ইয়ার্ডের ভেতরেই আছে, বাইরে বের হতে পারনি। তবে কন্টেইনার এত অধিক পরিমানে যে আগুন নেভানো অত্যন্ত কস্টকর হয়ে পড়ছে।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কান্না- আর্তনাদ- আহতদের বাঁচার আকুতি স্বজনদের আহাজারি এসব কিছু মিলিয়ে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। রাত থেকেই চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিভিন্ন ছাত্র যুব সংগঠন ওষুধ সরবরাহ, রোগিদেরকে চিকিৎসকের কাছে পৌছানো, তাদের সাহায্য করার কাজটি করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। মেডিকেলের বাইরে একটি ওষুধের দোকান এই রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে ওষুধ লাগবে তার সবই বিনামুল্যে সরবরাহ করছে। রক্তের জন্যও হাহাকার চলছে এক ধরনের। যদিও এরই মধ্যে এই মানবিক বিপর্যয়ে রক্ত দিয়ে রোগিদের বাঁচানোর জন্য অনেকেই রক্ত দিয়েছেন ও দিচ্ছেন। তবে নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের সংকট রয়েছে। ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম মেডিকেলের সব চিকিৎসকদের ছুটি বাতিলসহ সরকারি বেসরকারি সব চিকিৎসকদেরকে জাতির এই মানবিক বিপর্যয়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম শাখা।

Related Articles

Back to top button