পার্বত্য অঞ্চলবিনোদনরাঙ্গামাটিসারাদেশ

সাজেক ভ্যালিতে শরতের মুগ্ধতা , পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

আরিফুল ইসলাম মহিন:
সাজেক ভ্যালি শরতের মনোরম আবহে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসছেন পাহাড়ি এই পর্যটনকেন্দ্রে। মেঘে ছাওয়া পাহাড়, নীল আকাশ আর সাদা মেঘের ভেলায় সাজেক যেন স্বর্গীয় সৌন্দর্যে রূপ নিয়েছে।

 

 

ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিচ্ছে সাজেক। বিশেষ করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় হেলিপ্যাড, রিসোর্টের ব্যালকনি ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুরা জানিয়েছেন, প্রকৃতির এত কাছাকাছি এসে তারা এক অনাবিল আনন্দ অনুভব করছেন।

 

 

পর্যটকদের চাপ বৃদ্ধির কারণে সাজেক ভ্যালির হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে আগাম বুকিং ছাড়া কক্ষ পাওয়া এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, শরৎ ও শীত মৌসুমে সাজেকে পর্যটকের ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকে। এ সময়ে পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে স্থানীয় অর্থনীতি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, জিপ গাড়ি চালক থেকে দোকানদার— সবাই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

 

 

একজন পর্যটক অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “এখানে এসে মনে হচ্ছে সত্যিই আমি মেঘের রাজ্যে আছি। প্রতিটি মুহূর্ত আমার হৃদয়ে গেঁথে যাচ্ছে।” আরেকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, “পর্যটক আসলে আমাদের ব্যবসা জমে ওঠে। সবাই কাজে ব্যস্ত থাকে, জীবিকা নির্বাহ সহজ হয়।”

 

 

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হলে সাজেক ভ্যালি আরও পর্যটক আকর্ষণ করতে পারবে। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যটকদের আস্থা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি টেকসই পর্যটন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে সাজেকের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ থাকবে।

 

 

শরতের মনোমুগ্ধকর সাজে সাজেক ভ্যালি আজ পর্যটকদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, প্রকৃতির টানে আগামীতেও পর্যটকের ভিড় বাড়তে থাকবে, যা দেশের পর্যটন খাত ও অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

Related Articles

Back to top button