সংস্কার নেই ক্ষত বিক্ষত দাউদকান্দির আঞ্চলিক সড়ক
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক , দাউদকান্দি (কুমিল্লা) : পুরো সড়ক জুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত । সড়কের ৯০ শতাংশ পিচ ঢালাই উঠে গেছে । গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেও চলাচল করা দূরুহ হয়ে পড়েছে। এই চিত্র দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর- আসমানিয়া ও গৌরীপুর-খোসকান্দি সড়কের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গৌরীপুর- খোসকান্দি ও রায়পুর-আসমানিয়া সড়কটি দিয়ে তিতাস, মুরাদনগর ও হোমনা উপজেলার প্রায় ৫ টি ইউনিয়নের লোকজন যাতায়ত করেন। সড়কটির পুরো চার কিলোমিটার অংশে এবং গৌরীপুর- খোসকান্দি সড়কের গৌরীপুর বাজার থেকে লক্ষিপুর, চান্দেরচর পর্যন্ত পিচঢালাই উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। এসব গর্তের উপর দিয়ে হেলেদুলে চলছে ছোট বড় যানবাহন। সড়কের পাশে লক্ষিপুর মাদ্রাসায় প্রতিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এসড়কে যাতায়াতকারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে । অপরদিকে রায়পুর-আসমানিয়া সড়কটিরও একই অবস্থা দেখা গেছে । সড়কটি বিগত ৫/৬ বছর ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। অনেকে বলছেন দেখার কেউ নেই। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে ভূক্তভোগীরা জানান। সিএনজি চালক রবিউল, নুরা আলম বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে ২০ মিনিটের পথ এক ঘন্টায় যেতেও কষ্ট হয়। আর সড়কের পিচঢালাই উঠে যাওয়ায় ধুলো বালু বাড়ছে। তাই গাড়ি চলাচল কমে গেছে।
তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ গ্রামের ইরফান মাহমুদ ও আনিসুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাঙ্গাচোরা সড়কের ছবি দিয়ে লিখেছেন, এ সড়ক দিয়ে ডেলিভারি রোগী নিলে রাস্তায়ই ডেলিভারি হয়ে যাবে, অসুস্থ্য রোগী হাসপাতালে নিতে গেলে সড়কের কারণে যাওয়ার আগে রোগী মারা যাবে! আমরা সাধারণ জনগণ এমপি-মন্ত্রীর কাছে টাকা পয়সা কিছুই চাই না, শুধু চায় রাস্তাঘাট দিয়ে যেন সুন্দর ভাবে চলাফেরা করতে পারে। সড়কটি সংস্কারে কতৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।
লক্ষিপুর মাদ্রসার অধ্যক্ষ মুফতি সোলায়মান বলেন, গৌরীপুর বাজার থেকে মাদ্রাসা হয়ে চান্দেরচর পর্যন্ত সড়কটি এতই নাজুক অবস্থা যে, ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের পায়ে হেটে চলাচলও দুস্কর। অতি দ্রæত সংস্কার করে জনগণের দুর্ভোগ লাগবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি।
রায়পুর-আসমানিয়া সড়কে যাতায়তকারী ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংস্কারের জন্য একাধিকবার এলজিইডিকে অনুরোধ করা হলে কোনো কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে এলজিইডির দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী এসএম আনোয়ার বলেন, ভাঙা সড়কগুলো সংস্কারের জন্য তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠনো হয়েছে। যা দরপত্র আহবানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।