Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

শান্ত পাহাড় আবারো অশান্ত, গুলিতে নিহত ৪

স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়িতে উপজাতীয় আঞ্চলিক দুই সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারে গুলাগুলিতে পিসিপি’র সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা সহ চার জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আরো তিন জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা যায়।

 

গতকাল সোমবার (১১ ডিসেম্বর ২০২৩) রাতে পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের অনিল পাড়া নামক গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

 

বিশ্বস্থসুত্রে জানা যায় , নিহতরা হলেন- পিসিপি’র সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল কান্তি ত্রিপুরা (২৮), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা (২৯) ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (৪৯)।

নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ায়। সে  সুনয়ন চাকমার ছেলে। সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ার  সুখেন্দু বিকাশ ত্রিপুরার ছেলে।  লিটন চাকমার  খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়ার  মৃত. চিন্তা মুনি চাকমার ছেলে এবং রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা পানছড়ির উল্টাছড়ি ইনিয়নের পদ্মিনী পাড়ার বাসিন্দা জনাধন ত্রিপুরার ছেলে।

এ ঘটনায় আরো নিখোঁজ রয়েছেন ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা।

 

 

পিসিপি (ইউপিডিএফ -প্রসিত) সুত্রে জানায়, সাংগঠনিক কাজের জন্য বিপুল চাকমা সহ উক্ত ৭ জন নেতা-কর্মী গতকাল লোগাং এলাকায় যান। তারা রাতে অনিল পাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে  ঠ্যাঙারে নব্যমুখোশ দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে হানা দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায়। তারা ঠাণ্ডা মাথায় একে একে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে। তাদেরকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে চলে যায়।

 

 

এ ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে নীতিদত্ত ও হরি কমলকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

 

 

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিউল আজম বলেন, গুলাগুলির ও হতাহতের ঘটনা বিভিন্নভাবে শুনছি । দূর্গম এলাকা হওয়ায় এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌছাতে পারিনি।

Related Articles

Back to top button