লামায় বিএডিসি কার্যালয়ের অবৈধ ভাবে গাছ কর্তন
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, লামা , বান্দরবান : বান্দরবানের লামায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর অন্তত পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৬টি গাছ নিয়মবর্হিভুতভাবে বিক্রি করে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালকের বিরুদ্ধে। বিক্রিকরা গাছগুলো ইতিমধ্যে কেটেও ফেলা হয়েছে। এরমধ্যে ১০টি মাদার ট্রি। তবে এসব বিক্রি ও কাটার জন্য নিয়ম অনুযায়ি কোনো নিলাম আহবান করা হয়নি। মতামত (অনুমতি) নেওয়া হয়নি বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থার।
লামা বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাত্র একশ গজ দূরত্বে বিএডিসি কার্যালয় থেকে এভাবে গাছ টাকা হলেও এ বিষয়ে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বন বিভাগ।
বিএডিসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লামা মধুঝিরি এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উপপরিচালক কার্যালয়ে পিছন থেকে এসব গাছ বিক্রকরা হয়েছে। আর এসব গাছ লোকদিয়ে কেটে নিয়ে গেছেন লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামাল উদ্দিন। গাছ কাটার বিষয় স্বীকার করে কামাল উদ্দিন বলেন, লামা বিএডিসির উপ-পরিচালক মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে গাছগুলো ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন।
লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আরিফুল হক বলেন, বন বিভাগ গাছ যাচাই করে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরই নিলামের বিক্রি করার সুযোগ আছে। তবে লামা বিএডিসি থেকে অনুমতির জন্য লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো আবেদন পাননি বলেও ডিএফও জানান।
এভাবে গাছ কাটার বিষয়ে তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লামা-আলীকদম পরিবেশ রক্ষা পরিষদের সভাপতি এম রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সরকারের এই সংস্থাটি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যেভাবে অর্ধশত বছর পুরোনো গাছ গুলো কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করেছে, এর ক্ষতি আগামী ২০ বছরেও পূরণকরা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার গাছ মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করায় সরকার বিশাল পরিমান রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লামা বিএডিসির উপপরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, বেশি বয়সী কিছু গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এসব গাছের ছায়ায় অন্যসব গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাই কিছু গাছ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, বিষয়টি আমি এখন আপনার কাছ থেকে জানলাম। খোঁজ নিয়ে দেখছি।