Breakingঅপরাধচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

র‌্যাব-৭ এর অভিযানে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক

চট্টগ্রাম :
ফেনী ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ টি গ্রুপের ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, মোবাইলও উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানে কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতাকেও গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর টীম।

 

 

২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিগত এক বছরে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অভিযানে অসংখ্য কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে।

 

মূলত ‘‘হিরোইজম ও বড় ভাই কালচার’’ প্রকাশ করতে পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তাগন।

 

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’ র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফেনী জেলার পৌরসভা এলাকা থেকে ‘ এসডিকে’ গ্রুপের মোঃ রাব্বি (২০)সহ ৩ জন, চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এলাকা হতে নুরু গ্রুপের ৬ জন, আমিন কলোনী এলাকা হতে রশিদ গ্রুপের প্রধান মোঃ হারুনুর রশিদ (২১)সহ ৭ জন, বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকা হতে ইউসুফ গ্রুপের প্রধান মোঃ ইউসুফ সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা মোড় এলাকা হতে সাদ্দাম গ্রুপের প্রধান মোঃ রকিবুল হোসেন ওরফে সাদ্দাম (২৬)সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ৬টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের গ্রুপ লিডারসহ সর্বমোট ২৮ জন ধরা পড়লো।

 

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং গ্রুপ সাধারণত চট্টগ্রাম মহানগরী এবং ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী ও ইভটিজিং, প্রভাব বিস্তার করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। এছাড়াও কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে স্থানীয় এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজী, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে স্থানীয় এলাকার একটি চক্রের মদদ রয়েছে।

 

 

বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্ত মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ ইউসুফ, মোঃ এমরান হোসেন বাবলু, মোঃ রকিবুল হোসেন ওরফে সাদ্দাম, মোঃ আলা উদ্দিন, মোঃ রায়হান এবং মোঃ জাকির হোসেনদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া, আকবারশাহ, চান্দগাঁও এবং পাহাড়তলী থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এবং নাশকতা সংক্রান্তে ৮টি মামালার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা। গ্রেফতারকৃত কিশোর দের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।

Related Articles

Back to top button