রামগড় ও ত্রিপুরার সাথে স্থলবন্দরের কাজ ডিসেম্বরে শুরু
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,মগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সাথে স্থলবন্দর চালুর লক্ষে অধিগৃহীত ভূমি পরিদর্শনে এসেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আলমগীর ।
শনিবার (৬ই নভেম্বর) দুপুরে তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা রামগড় মহামুনি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু সংলগ্ন প্রস্তাবিত অধিগ্রহনকৃত বন্দর এলাকা ও বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ স্থল এলাকা পরিদর্শনে আসেন। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে হাবিবা মজুমদার তাদের স্বাগত জানান।
এসময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর জানান, বন্দরের জন্য নতুন করে আরো কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এই মাসের শেষে কিংবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বন্দরের অধিগ্রহণকৃত জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তিনি আরো জানান, রামগড় -সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু করার ব্যাপারে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে পুনরায় রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু হবে।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সরোয়ার হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, রামগড় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে হাবিবা মজুমদার, রামগড় পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র রফিকুল আলম কামাল, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুজ্জামন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ১ আহসান উল্ল্যাহ সহ প্রমুখ।
জানা গেছে, স্থলবন্দর অবকাঠমোর মধ্যে সীমানা প্রাচীর ও গেইট ঘর, ওয়ান স্টপ বন্দর ভবন (চেক পোস্ট), কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, শৌচাগার, শ্রমিক শেড, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড এবং গুদাম ঘর, আরসিসি ফুটপাথ এবং স্ট্যাক ইয়ার্ডস ও পথচারীদের ওভারপাস ইত্যাদি নির্মাণ সহ জনবল নিয়োগ করা হবে। একইসাথে অভ্যন্তরীণ বিদ্যুতায়ন এবং প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম স্থাপন করা হবে।