Breakingপার্বত্য অঞ্চলরাঙ্গামাটিসারাদেশ

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, রাঙ্গামাটি :
দীর্ঘ ৪ মাস ১২ দিনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু করে জেলেরা। সকাল থেকে রাঙ্গামাটির বিএফডিসির ল্যান্ডিং ঘাটে মাছ আসতে শুরু করেছে। মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত রাঙ্গামাটির প্রায় লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান আবারো শুরু হয়েছে। মাছ আসতে শুরু করায় চিরচেনা রূপে ফিরছে রাঙ্গামাটির ফিসারী ঘাট। আজ ভোর ৬ টা থেকে রাঙ্গামাটির ফিসারী ঘাট প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

 

কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা গত ১৯ জুলাই শে হলেও কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না হওয়ায় দুই দফায় আরো এক মাস ১২ দিন মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। দীর্ঘ দিন পর মাছ শিকার শুরু হওয়ায় এখন জেলে পল্লী ও ফিসারি ঘাটে চলছে জেলেদের ব্যস্ততা। গত মধ্য রাত থেকে হ্রদে মাছ শিকার শুরু হওয়ায় মাছ কিছুটা কম ধরা পরলেও ব্যবসায়ীরা খুশী। এক দিনে বেশী মাছ আহরণ করার চাইতে পুরো ৯ মাস কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন সকলেই।

 

ফিসারীর সাথে জড়িত শ্রমিকরা বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস বাসায় বসে ছিলাম। অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। এখন হ্রদে মাছ শিকার শুরু হয়েছে মাছের আহরণ শুরু হওয়ায় আমরাও কাজ করতে পারছি। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে দু মুটো ভাত খেতে পারবো।

রাঙ্গামাটি বৃহত্তর মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেন, কাপ্তাই হ্রদের দীঘ সাড়ে ৪ মাস বন্ধ থাকার পর মাছ শিকার শুরু হয়েছে। আশা করছি কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত মাছ এসেছে। গত বছর কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় প্রথম দিনই প্রচুর মাছ আহরণ করা হয়েছে। এ বছর হ্রদে পর্যাপ্ত পানি হয়েছে। পানি না হওয়ায় আমরাই মাছ শিকার দেরীতে করতে অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করছি হ্রদে পানি পর্যাপ্ত হয়েছে মাছ চারি দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। সারা বছর হ্রদ থেকে আমরা মাছ আহরণ করতে পারবো। এখন বাজার দর যদি একটু ভালো পাওয়া যায় তাহলে মাছের উৎপাদনের সাথে সাথে জেলে ও শ্রমিকদের আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলতা বাড়বে এবং আমরাও লাভবান হবো।

 

১ লা সেপ্টেম্বর ২০২৩ ,শুক্রবার ভোর থেকে বিএফডিসির অবতরন ঘাটে মাছ আসতে শুরু করে। দীর্ঘদিন পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরে অধিক রাজস্ব আদায়ের প্রত্যাশা করছে বিএফডিসি ম্যানেজার মোঃ আশরাফুল আলম ভূইয়া বলেন বিশাল এই কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হয়েছে। ভোর থেকে ল্যান্ডিং করা হয়েছে মাছের। আশা করছি পর্যাপ্ত মাছ আহরণ হবে এই হ্রদ থেকে। এবছর আমাদের টার্গেট হচ্ছে ১৬ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় পানির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর প্রথম দিনই প্রচুর পরিমান মাছ আহরণ করা হয়েছিল। তবে এবছর জেলেদের জালে মাছ যেমন ধরা পড়বে কম। এটা প্রজেটিভ দিক। জেলেরা সারা বছর হ্রদে জাল ফেলতে পারবে। বিশাল এই কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছ আজ ভোর থেকে গাড়ীতে করে চট্টগ্রাম, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাছ রপ্তানী করা শুরু হয়েছে।

Related Articles

Back to top button