Breakingসারাদেশ

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষের মৃত্যু

তৃণমূলে জনপ্রিয় নেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া

স্টাফ রিপোর্টার , মুন্সিগঞ্জ:
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তৃণমূলে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা সুকুমার রঞ্জন ঘোষ আর নেই। সোমবার ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

 

 

তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সুকুমার রঞ্জন ঘোষ ছিলেন একজন পরিশ্রমী, আপোষহীন ও তৃণমূল বান্ধব নেতা হিসেবে সু-পরিচিত।

 

 

পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তিনি পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ধানমন্ডির নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী আভা রাণী ঘোষ জানান, রাজধানীর বরদেশ্বরী কালী মন্দিরে সকাল ১০টায় তাঁর সৎকার অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

মুন্সিগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে সুকুমার রঞ্জন ঘোষ ছিলেন এক আলোচিত ও প্রভাবশালী নাম। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ শ্রীনগর উপজেলা সদরের ঝুমুর সিনেমা হলের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং ধীরে ধীরে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান।

 

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে তিনি চমক সৃষ্টি করেন। ওই নির্বাচনে তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (কুলা প্রতীক) ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (ধানের শীষ)কে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

 

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর মালিকানায় ছিল ঝুমুর সিনেমা হল, একটি ফিল্ম হাউস এবং একটি ওষুধ কোম্পানি। তিনি দীর্ঘদিন শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

 

সুকুমার রঞ্জন ঘোষের মৃত্যুতে মুন্সিগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে। নেতাকর্মীরা তাঁকে স্মরণ করছেন একজন দূরদর্শী, সংগঠক ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকা রাজনৈতিক নেতা হিসেবে।

Related Articles

Back to top button