Breakingখাগড়াছড়িচট্টগ্রাম অঞ্চলদুর্ঘটনাপার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

মামার বাড়ি বেড়াতে এসে প্রাণ গেল নুসরাতের

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা ,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে মামাতো বোনসহ গোমতি নদীতে গোসল করতে নেমে নুসরাত জাহান (১৬) নামে এক কিশোরী পানিতে জুবে মারা যায়। গোমতি নদীর পানিতে ডুবে যাওয়ার দুই ঘন্টা পরে তাকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল।

৮ আগষ্ট ২০২২ রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের উত্তর পাড়ায় এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুসরাত জাহান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগর উপজেলার মো: কাউসার আলমের মেয়ে। সে তার মামা মাটিরাঙ্গার বেলছড়ির উত্তর পাড়ার মো: আবদুল্লাহ‘র বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো।

উদ্ধার কার্যক্রম

স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে নুসরাত জাহান মামাতো বোন সহ ৫ জন সহপাঠী বাড়ির পাশে গোমতি নদীতে গোসল করতে যায়। পাঁচ জন গোসল করতে নামলে মুহুর্তের মধ্যে নুসরাত সহ দুইজন গোমতি নদীর গভীর পানিতে ডুবে যায়। এ সময় সাথে থাকা সহপাঠীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। প্রতিবেশীরা একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও নুসরাত জাহানকে উদ্ধার করতে পারেনি।

মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ঘন্টা চেষ্ঠার পর নুসরাত জাহানকে উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পিপাসা বড়ুয়া তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ঘটনার পরপরই মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ। তারা নিহতের স্বজনদের স্বান্তনা দেন।

মামার বাড়িতে বেড়াতে আসা কিশোরী নুসরাত জাহানের মৃত্যুর ঘটনাটি মেনে নেয়ার মতো নয়, জানিয়ে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগর উপজেলার পৈত্রিক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মো. শফিকুল আলম খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭ জনের একটি ডুবুরী দল স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্ঠার নুসরাত জাহানকে গোমতি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।

মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এ বিষয়ে স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

Related Articles

Back to top button