Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

মাদরাসা ছাত্র সোহেল অপহরণের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ঘোরখানা এলাকা থেকে অপহরণের শিকার শাহান শাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা ৭ম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহেল অপহরণের প্রতিবাদ ও তাকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

 

১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার সকাল দশটায় উপজেলার ঘোরখানায় প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার মাঠে এই মানববন্ধন করেছে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ নেন মাদরাসার শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।

 

মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক আবদুর রশিদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অপহৃত সোহেলের নানা ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল জব্বার, সহকারী মৌলভী মো. আলাউদ্দিন, আবু বক্কর ছিদ্দিক ও শিক্ষার্থী মো. শফিউল বশর।

 

এসময় বক্তারা বলেন, ‘চিহ্নিত অপরাধীরা মোঃ সোহেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়। এঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজনকে প্রশাসন গ্রেফতার করলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি’। তারা অপহৃত মোঃ সোহেলকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাওয়া এবং অপহরণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

 

এর আগে গত ৪ জুলাই রাতে মানিকছড়ি উপজেলাধীন ২নং বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে মোঃ সোহেল (১৪), পিতা- আব্দুল জলিল, গ্রাম ছদুরখীল, থানা- মানিকছড়ি, জেলা- খাগড়াছড়ি নিখোঁজ হয়। পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সোহেলের নানার নাম্বারে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনার পর গত ১১ই জুলাই মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ ও সহায়তা করার অপরাধে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোহেলের নানা আবদুর রহিম প্রকাশ গফুর আনসার অপহরণ মামলা দায়ের করলে প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করে যৌথবাহিনি।

 

আটককৃতরা হলেন কসম কার্বারি পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), এবং গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা অপহরণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও অপহৃতের সন্ধান দিতে পারেনি। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ’।

 

Related Articles

Back to top button