Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

বিদ্যানন্দের মানবিক কার্যক্রমগুলো দেখে আমি খুবই আনন্দিত- জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি :
“যা প্রয়োজন এখন বাকীতে নিন, পরে সামর্থ্য হলে অন্য কোন অভাবীকে ফেরত দিন” এই স্লোগানে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে “বাকীর হাট ” নামে সুপার শপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাবের মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান বাকীর হাট সুপারশপ শুভ উদ্বোধন করেন।

 

এ সময় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য মো: জামাল উদ্দিন ,খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল হক, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ, খাগড়াছড়ি টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন খাগড়াছড়ি ব্রাঞ্চের ভলান্টিয়ার মনি স্বপন দেওয়ান (জুনো) সহ বিভিন্ন ব্রাঞ্চের স্বেচ্ছাসেবকগন ও সুবিধাভোগীগন উপস্থিত ছিলেন।

 

বাকীর হাট সুপারশপে ২১টি পণ্যের সমাহার ছিলো। সেখান থেকে নির্দিষ্ট টোকেন নিয়ে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ জন সুপার শপে চাউল , পিয়াজ , লবণ , ডিম , ব্রয়লার মুরগী ,চিনি ,এংকর ডাল , দেশী মসুর ডাল, অরেঞ্জ বিস্কুট , নুডলস, সুজি, আটা ,সয়াবিন তেল রুই মাছ (বড়) ,আলু , মিষ্টি কুমড়া ,লাউ, পেন্সিল -খাতা-কলম, জুতা -ছাতা , টি-শার্ট সমুহ থেকে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী ৬০০ টাকার ভিতরে বাকীতে বাজার করেছেন।

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান বলেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের আজকের এই বাকীর হাট সুপারশপ অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। বিদ্যানন্দের এই সকল মানবিক কার্যক্রমগুলো দেখে আমি খুবই আনন্দিত। সর্বোপরি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এই কনসেপটি খুবই চমৎকার।বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারনে সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষ খুব দুর্দশার মধ্যে আছে। তাঁর উপর সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি জেলা অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সারাদেশে সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য একটি অভিনব বাজার পরিচালনা করে থাকে। প্রথাগত ত্রানের বিপরীতে ত্রানপণ্য দিয়ে বাজার বসানো হয় যেখান থেকে মানুষ তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী পন্য বাছাই করে নিতে পারেন। ফলে যার যে পন্য দরকার তিনি সে পন্য বাছাই করতে পারেন। পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষদেরও যে বাছাই করে নেয়ার অধিকার আছে সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

বাকীর হাট সুপারশপে বাজার করতে আসা সানোয়ারা বেগম , এন্টন চাকমা , মিথুই চিং মারমা সহ অনেকের সাথে আলাপকালে বলেন, জীবনে ভাবিনি ভাবিনি বড়লোকের মতো করে স্বাধীনভাবে এভাবে শপিং করতে পারবো। নিজের পছন্দ মতো মুরগী,ডিম,নুডলস,আলু,চাউল আমরা খুবই আনন্দিত। বিদ্যানন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

 

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য মো: জামাল উদ্দিন বলেন,ভোজ্যতেল, চাল-ডাল, লবণ, ডিম, মাছ, সবজি ও নুডলসসহ ২১ টি পণ্যের সমাহার ছিল সুপারশপে। নির্দিষ্ট টোকেন নিয়ে দুস্থ ও অসহায় মানুষজন নিজেদের চাহিদা মতো বাজার করেছেন। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের তদারকিতে বাকীর হাটে চলেছে অসচ্ছল নারী ও পুরুষের কেনাকাটা। মুলত দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বাজারের আয়োজন করা হয়।

Related Articles

Back to top button