Breakingপার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

বিএনকেএস উদ্যোগে থানচিতে স্বাস্থ্য সম্মত গণ শৌচাগার ও বিশুদ্ধ পানীর ব্যবস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, থানচি,বান্দরবান :
বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম দুইটি গ্রামে স্বাস্থ্যসম্মত গণশৌচাগার স্থাপন ও বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি (বিএনকেএস)।

 

 

সম্প্রতি উপজেলার হালিরাম ও ঙাইক্ষ্যং পাড়া দুর্গম পাহাড়ে সুবিধাবঞ্চিত দুই গ্রামে এ কার্যক্রমের স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপদ পানির সংকট নিরসনে বিএনকেএস এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।

 

 

২১ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, বেসরকারী প্রতিনিধিরা যৌথ মনিটরিং পরিদর্শন কালে উঠে আসে।যৌথ মনিটরিং ভিজিট পরিদর্শনে অংশ নেন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি,সরকারি কর্মকর্তা, সিভিল সোসাইটির সদস্য, সাংবাদিক, অন্যান্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।

 

পরিদর্শন কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করে বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি (BNKS) এবং সহযোগিতায় ছিল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশনএইড (ActionAid)। এ সময় এলআরপি(LRP) প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, পানীয় জল ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনগণের অংশগ্রহণ মূলক কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

 

এ সময় উপজেলা কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হ্লাসুইথোয়াই মারমা, প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা, সমাজ সেবা কার্যালয়ের সুপারভাইজার মো: আমীর হোসেন, প্রাণী সম্পদ দপ্তরের উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মেনসিং ম্রো,বিএনকেএস প্রোগ্রাম এন্ড স্পনসার কর্মকর্তা মংক্যওয়াং মারমা, ফিল্ড অর্গানেজার ক্যথুইঅং মারমা প্রমূখ।

 

বিএনকেএস কর্মকর্তারা জানান, এলআরপি(LRP) প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা সমবায় সমিতি লাবারং সমিতিকে ৫০ হাজার টাকা ও ঙাইক্ষ্যং পাড়া নারী সমিতি রেজিস্ট্রেশনের ২০ হাজার টাকা চেক বিতরণ করা হয়। হালিরাং পাড়া স্বাস্থ্য সম্মত ৩টি গণশৌচাগার ও জিএসএফ পাইপ মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানিয় জলের ব্যবস্থা। এছাড়াও ঙাইক্ষ্যং পাড়া ৭০ পরিবারের জন্য একটি ডিপওয়েল স্থাপন ও জেনারেটর সরবরাহ করেন।

 

প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গ্রামে স্বাস্থ্যসম্মত গণশৌচাগার নির্মাণের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের জন্য নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন তাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। ভবিষ্যতেও এমন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ও বিশুদ্ধ পানীয় জল তাদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

অংশগ্রহণকারীরা জানান, এই ধরনের যৌথ মনিটরিং কার্যক্রম প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

Related Articles

Back to top button