চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক ,
করোনা কালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা পাহাড়ে শুরু হয়েছে। তবে পূজার শুরুতেই বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। উৎসবের আড়ম্বরতায় কিছুটা ভাটা পড়লেও বৃহস্পতিবার মহা ষষ্ঠীতে সকাল থেকে মন্দির ও মণ্ডপে মণ্ডপে আসতে শুরু করেন ভক্তরা। পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গাপূজার আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে মহাসপ্তমী অনুষ্ঠিত হবে।
মহাষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে ছিল দশভুজা দেবীর অধিষ্ঠান, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর অধিষ্ঠান হয়। সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল পুষ্পাঞ্জলি। এর আগে বুধবার বোধনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়।
পূজা উদযাপন পরিষদের উজ্জল কান্তি চৌধুরী, রুপন কর ,অনিমেশ ত্রিপুরা বলেন, এবারে পূজামণ্ডপে ভক্তদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূজা মন্ডপ পরিচালনাকারী ব্রাম্মন জানান, সপ্তমী তিথিতে দুপুর ১২টা ১ মিনিটে সব মন্দিরে করোনামুক্তি ও সবার আরোগ্য কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি আর বাজেট কাটছাঁটের কারণে এমনিতেই এবার উৎসবের সেই আড়ম্বর নেই; এর সঙ্গে আবার বৃষ্টির চোখ রাঙানি যোগ হয়েছে।
এবার দর্শনার্থীদেরও আগ্রহ কম। স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রচার চালানো হচ্ছে। আয়োজকরা আরও জানান, ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নীতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভক্তদের মণ্ডপে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
ভক্তরা জানান, প্রতি বছর পূজায় কয়টা দিন পরিবারের সদস্য আর বন্ধুদের নিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দেখতাম। এবার করোনার কারণে জীবনযাত্রা তো স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। তাই পূজা ঘিরে আগ্রহ বেশি ছিল। ভেবেছিলাম পূজায় অন্তত বেড়ানো হবে। কিন্তু নানা রকম নির্দেশনা আর স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি বেশি। বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। এবার হয়তো তেমন করে আর বেড়ানো হবে না।