Breakingপার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

বাকলাই পাড়ায় সেনা সহযোগীতা পেলো বম সম্প্রদায়

স্টাফ রিপোর্টার,থানচি,বান্দরবান:
জেলার রুমা ও থানচির সীমান্তে বসবাসরত কুকিচিন তান্ডবের ঘরবাড়ী ছেড়ে গহিন অরণ্যে আশ্রিত বম পরিবার দীর্ঘ ১০ মাস পর স্বাভাবিক জীবনের ফিরে আসায় তাদের সহায়তা করছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী।

 

১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার বাকলাই সাব জোন ক্যাম্পে প্রতি পরিবারকে চাউল, আটা, চিনি, তৈল, ডাল, লবণ ও শিক্ষার্থীদেরকে স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হয়।

 

সুত্র জানায়, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডারের আদেশে বান্দরবানের আলীকদম ১৬ ইবি জোনের অন্তর্ভুক্ত বাকলাইপাড়া সাব জোন ক্যাম্পের  অধিনায়ক মেজর মহেববুল্লাহ সাদী এসব সামগ্রী ১৫ পরিবারে হাতে তুলে দেন।

এছাড়াও অসহায় বম পরিবারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরিক্ষা,বিনা মূল্যে ঔষধ চিকিৎসা প্রদান সহ গ্রামবাসীর পুষ্ঠি খাদ্যের ব্যবস্থা করেন।

 

বাকলাই পাড়ার প্রধান লাল চম থাং বম (৬৮) বলেন, কেএনএফ -এর নির্যাতন, হুমকি ও লুটপাটের দীর্ঘ ২৩ মাস বন ও জঙ্গলে ছিলাম। বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে। আমাদের বাসস্থান ফিরিয়ে দিয়েছে, নতুন জীবন দিয়েছে সেনাবাহিনী।

 

সেনা সহায়তা গ্রহন করে বাকলাই পাড়া বাসিন্দা সুমহেপন বম (৫০)বলেন,“ দীর্ঘ দিন বনজঙ্গলে পালিয়ে খুব কষ্টে জীবন কেটেছে, গ্রামে ফিরে এবং সেনাবাহিনী আমাদের মনের প্রশান্তি ও বেঁচে থাকার পথ খুঁজে দিয়েছে। আমাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থা এবং আমাদের স্বাস্থ্য ঝুকির ও নিত্য প্রয়োজনীয় সুবিধা দিতেছেন। সেনা বাহিনী এ সুবিধাকে স্বাগত জানাই।

মেজর মহেববুল্লাহ সাদী জানান, বাকলাই পাড়া পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকাতে অবস্থিত। আমরা স্থানীয়দের নিরাপত্তা ও সহায়তার এবং গোয়েন্দা নজরদারি তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা মধ্যে রেশন, মেডিকেল সহায়তা ও শিক্ষা উপকরণ সহ অন্যান্য উন্নয়ন মূলক কাজেও সাহায্য প্রদান করে যাচ্ছি।এতে ২৩ মাস পর নিজেদের গ্রামে ফিরে এসে অসহায় পরিবার গুলোর জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।

 

উল্লেখ্য ২০২৩ সালে ৬ মার্চ পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) এর নির্যাতন ও নিপীড়নে বাকলাই পাড়ার ২৮ টি পরিবার বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায়। ২৮টি পরিবারের মধ্যে ১৫ পরিবারের ৮১ সদস্য গত ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ জঙ্গল থেকে সেনা সহায়তা বাকলাই পাড়া নিজ গ্রামে ফিরে আসে।

Related Articles

Back to top button