বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণে ৬৫ দিনের অবরোধ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই শুরু হবে সমুদ্রযাত্রা। সাগরে রওনা হবেন শরণখোলাসহ উপকূলের হাজার হাজার জেলে। এজন্য চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া মৎস্য পল্লী। ঘাটে নোঙর করা ট্রলারগুলো প্রস্তুত হয়ে আছে সাগরে যাওয়ার জন্য। ট্রলারে জাল, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলতে ব্যস্ত জেলেরা। মৎস্য আড়তগুলোতে মহাজনরা হিসাব-নিকাশ কষছেন জেলেদের নিয়ে।
বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও শরণখোলার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী এম সাইফুল ইসলাম খোকন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও দেশের আমিষের চাহিদা পূরণে সরকারের বিজ্ঞানসম্মত সিদ্ধান্তকে অমান্য করে উপকূলের বহু অসাধু জেলে সাগরে ইলিশ শিকার করেছে। অবরোধকালীন সরকারের সুবিধা ভোগ করেও তারা মৎস্য সম্পদের ক্ষতি করেছে। সমুদ্র রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইন প্রয়োগে শিথিলতার কারণে এমনটা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, অবরোধের কারণে গত বছর ইলিশ মাছ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবরোধ পালনে সরকার আরও কঠোর হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পর্যাপ্ত ইলিশ বাইরে রফতানি করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে শরণখোলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, গত বছর শরণখোলার জেলেরা সমুদ্র থেকে ৭৬০ টন ইলিশ আহরণ করেছে। এবার ৮০০ টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অবরোধের কারণে দিন দিন ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। অবরোধের এই দুই মাসে উপজেলার ছয় হাজার ৭৪৪ জন সমুদ্রগামী জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।