Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় পানছড়ি উপজেলা কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, পানছড়ি , খাগড়াছড়ি :
“বাঁচাও পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা করুন কর্মসংস্থান” শ্লোগানে খামারিদের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গঠন, সিন্ডিকেট মুক্ত মৎস ডেইরি ও পোল্ট্রি ব্যবসায় করার লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির পানছড়িতে উপজেলা কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

২০ মার্চ ২০২৩ সোমবার দুপুরে পানছড়ি সদর ইউপি হলরুমে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প সংগঠন, পানছড়ি উপজেলা শাখা’র উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো: মফিজুল ইসলাম মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।

 

পোল্ট্রি শিল্পই হচ্ছে সবচেয়ে সস্তার প্রাণীজ আমিষ যোগানোর মাধ্যম। ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানমুখী সমৃদ্ধ শিল্প এটি। গ্রামীণ পরিবারের গৃহস্থালি কাজের আয়বর্ধনেরও একটি হাতিয়ার। এই শিল্প যেমন লক্ষ লক্ষ লোকের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে সস্তায় পুষ্টির যোগান দিয়ে দেশে মেধাবী এবং সুস্থ সবল প্রজন্ম সৃষ্টিতে অবদান রাখছে। তবে বর্তমান সময়ে এই শিল্প যেন বিপরীতমুখী দিকে ধাবিত হচ্ছে। ক্রমাগত বাচ্চা, খাদ্য, ঔষধসহ আনুষাঙ্গিক খরচের মূল্য বৃদ্ধি এবং সিন্ডিকেটের কারনে শঙ্কায় ভোগছেন প্রান্তিক খামারিরা।

বক্তারা বলেন, পোল্ট্রি শিল্প আজ ধ্বংসের পথে। পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচাতে হলে দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে মানতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার, রক্ষা করবে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়াও সরকারের নিকট ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন মো: মফিজুল ইসলাম মল্লিক ও মো: মানিক হাসান স্বাক্ষরিত পত্রে। দাবিগুলি নিন্মে উল্লেখ করা হলো:-

প্রথম দাবি: ব্রয়লার মুরগির ৫০কেজি প্রতি বস্তা খাদ্যের দাম ২০০০ থেকে ২১০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে এবং খাদ্যের মান বৃদ্ধি করতে হবে। লেয়ার সোনালী সহ অন্যান্য মুরগির খাদ্যের দাম ৫০কেজি প্রতি বস্তা ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে।

দ্বিতীয় দাবি: ব্রয়লার ও লেয়ার সকল প্রকার মুরগির বাচ্চার দাম বাৎসরিক ভাবে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে আনতে হবে এবং বাচ্চার মান বৃদ্ধি করতে হবে।

তৃতীয় দাবি: খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো তারা নিজেরা বাচ্চা উৎপাদন করে খামারিদের কাছে বিক্রি করে এবং নিজেরা ব্রয়লার ও লেয়ার সহ সকল প্রকার রেডি মুরগির উৎপাদন করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তাই খামারিরা ধ্বংসের পথে। সেই ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর রেডি মুরগি উৎপাদন করা বন্ধ করতে হবে।

চতুর্থ দাবি: আমরা প্রণোদনার টাকা চাইনা আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনীতভাবে অনুরোধ থাকবে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় ৩০০ জন নিবন্ধিত খামারিকে স্বল্পসুদে সহজ শর্তে প্রতি ১০০০ মুরগি পালনকারী খামারিকে কমপক্ষে ৩ (তিন) লক্ষ টাকা ব্যাংক ঋণ দিতে হবে।

পঞ্চম দাবি: প্রতি একজন খামারি দশ হাজার মুরগির উপরে কোন প্রকার রেডি মুরগি উৎপাদন করতে পারবে না।

ষষ্ঠ দাবি: সারা বাংলাদেশ থেকে উঠে আসা প্রান্তিক খামারিদের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রাণিসম্পদ মণস্ত্রালয় কর্তৃক আমাদের সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিতে হবে এটা আমাদের জোর দাবি সারা বাংলাদেশের প্রান্তিক খামারিদের।

আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সংগঠন পানছড়ি উপজেলা শাখা’র মো: আলমগীর হোসেনকে সভাপতি, মো: আব্দুল কাদের মির্জাকে সাধারন সম্পাদক ও মো: ইসমাইলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

Related Articles

Back to top button