পাহাড়ে বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতি শুরু
স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি :
আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ সহ বোরো ধানের উৎপাদন খরচ কমানো, শ্রমিক সংকট নিরসন ও সময় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ব্যবহার এবং সমলয়ে চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে পার্বত্য খাগড়াছড়ির পানছড়িতে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক কৃষককে উপকরণ সহায়তা প্রদান করে প্রথম বারের মত বোরো ধানের বীজ সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতি শুরু করেছে।
সরজমিনে সমলয় চাষাবাদ প্রযুক্তি দেখতে গেলে কৃষক শান্তি রঞ্জন চাকমা, সুকমল চাকমা,অমিত চাকমা, সুমতি রজ্ঞন চাকমা সহ অনেকেই জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ হচ্ছে।পাহাড়ে আমরা এই প্রথম এভাবে চাষ শুরু করেছি। আমাদের আধুনিক যন্ত্রপাতিতে চাষাবাদ প্রশিক্ষন দেওয়া হলে আমরা পরবর্তীতে অন্যের সহযোগীতা ছাড়াই করতে পারবো।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথমবারের মতো পানছড়িতে ৭১ জন কৃষকের ৫০ একর জমির জন্য ৬০০ কেজি (ব্রি ধান ৯২)বীজ ধান ৪৫০০ ট্রেতে চারা উৎপাদন করে রাইস ট্রান্স প্লানটারের মাধ্যমে চারা রোপন চলছে। এতে প্রতি একরে রাসায়নিক সার ইউরিয়া ৯০ কেজি, ডিএপি ৪০ কেজি, এমওপি ৫০ কেজি কৃষকদের জমি তৈরি ও উপরিভাগে প্রয়োগের জন্য কৃষি অফিস কর্তৃক সরবরাহ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল ইসলাম মজুমদার বলেন, বোরো ধান উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারের মাধ্যমে এবছর ৩ পার্বত্য জেলায় ৬টি বোরো ধানের (উফশী) সমলয়ে চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনী করা হচ্ছে। এতে করে স্বল্প সময়ে ধান রোপন ও কর্তন করে এবং চাষে শ্রমিক সাশ্রয় করে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষকদের মধ্যে সমবায়ী মনোভাব গড়ে তোলা সম্ভব। এ কর্মসূচির মাধ্যমে বোরো ফসলের উফশী জাতের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফলাফল ভালো হলে পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষকগণ কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হবেন এবং কৃষকের মাঝে সমবায়ী মনোভাব গড়ে উঠবে। ফলশ্রুতিতে কৃষকগণ সমলয়ে বোরো চাষাবাদে উৎসাহিত হবেন।